লাগিলেন। মতিলাল ভগিনীকে একবারও দেখিতে আইল না।—পরম্পরায় বলিয়া বেড়াইতে লাগিল ভদ্র লোকের ঘরে বিধবা হইয়া থাকা অপেক্ষা শীঘ্র মরা ভাল, এবং ঐ সময়ে তাহার আমোদ আহ্লাদ বাড়িয়া উঠিল—কিন্তু রামলাল আহার-নিদ্রা ত্যাগ করিয়া ভগিনীর সেবা শুশ্রূষা করিতে লাগলেন ও ভগিনীর আরোগ্যের জন্য অতিশয় চিন্তান্বিত ও যত্নবান হইলেন। ভগিনী পীড়া হইতে রক্ষা পাইলেন না—মৃত্যুকালীন ছোট ভ্রাতার মস্তকে হাত দিয়া বলিলেন—রাম! যদি মরে আবার মেয়ে জন্ম হয় তবে যেন তোমার মত ভাই পাই—তুমি আমার যা করেছ তাহা আমি মুখে বলিতে পারিনে—তোমার যেমন মন তেমনি পরমেশ্বর তোমাকে সুখে রাখিবেন —এই বলিতে২ ভগিনী প্রাণ ত্যাগ করিলেন।
১৪ মতিলাল ও তাহার দলবল একজন কবিরাজ লইয়া
তামাশা ফষ্টি করণ, রামলালের সহিত বরদাপ্রসাদ
বাবুর দেশ ভ্রমণের ফলের কথা, হুগলি হইতে গুম-
খুনির পরওয়ানা ও বরদা বাবু প্রভৃতির তথায় গমন।
বেলেল্লা ছোঁড়াদের আয়েসে আশ মেটে না, প্রতিদিন তাহাদের নূতন২ টাট্কা২ রং চাই। বাহিরে কোন রকম আমোদের সূত্র না পাইলে ঘরে আসিয়া মাথায় হাত দিয়া বসে। যদি প্রাচীন খুড়া জেঠা থাকে তবেই বাঁচোয়া, কারণ বেসম্পর্ক ঠাট্টা চলে অথবা জো সো করে তাঁহাদিগের গঙ্গা যাত্রার ফিকিরও হইতে পারে, নতুবা বিষম সংকট —একেবারে চারিদিকে সরিষাফুল দেখে।