পাতা:আলালের ঘরের দুলাল.djvu/১১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
[ ৯৬ ]

১৫ হুগলির ম্যাজিস্ট্রেটেরকাছারি বর্ণন, বরদাবাবু,

রামলাল ও বেণী বাবুর সহিত ঠকচাচার সাক্ষাৎ,

সাহেবের আগমন ও তজবিজ আরম্ভ এবং বরদাবাবুর

খালাস।


 হুগলির মাজিস্ট্রেটের কাছারি বড় সরগরম—আসামি, ফৈরাদি, সাক্ষী, কয়েদি, উকিল ও আমলা সকলেই উপস্থিত আছে, সাহেব কখন্ আসিবে —সাহেব কখন্ আসিবে, বলিয়া অনেকে টো২ করিয়া ফিরিতেছে, কিন্তু সাহেবের দেখা নাই। বরদা বাবু বেণী বাবু ও রামলালকে লইয়া একটি গাছের নিচে কম্বল পাতিয়া বসিয়া আছেন। তাঁহার নিকট দুই একজন আমলা ফয়লা আসিয়া ঠারে ঠোরে চুক্তির কথা কহিতেছে, কিন্তু বরদা বাবু তাহাতে ঘাড় পাতেন না। তাঁহাকে ভয় দেখাইবার জন্য তাহারা বলিতেছে —সাহেবের হুকুম বড় কড়া —কর্ম্ম কাজ সকলই আমাদিগের হাতের ভিতর —আমরা যা মনে করি তাহাই করিতে পারি —জবানবন্দি করান আমাদিগের কর্ম্ম —কলমের মারপেঁচে সকলই উল্টে দিতে পারি, কিন্তু রুধির চাই —তদ্বির করতে হয় তো এই সময় করা কর্ত্তব্য, একটা হুকুম হইয়া গেলে আমাদিগের ভাল করা অসাধ্য হইবে। এই সকল কথা শুনিয়া রামলালের এক২ বার ভয় হইতেছে কিন্তু বরদাবাবু অকুতোভয়ে বলিতেছেন—আপনাদিগের যাহা কর্ত্তব্য তাহাই করিবেন, আমি কখনই ঘুষ দিব না, আমি নির্দ্দোষ —আমার কিছুই ভয় নাই। আমলারা বিরক্ত হইয়া আপন২ স্থানে চলিয়া গেল। দুই একজন উকিল বরদা বাবুর নিকটে আসিয়া বলিল —দেখিতেছি মহাশয়