কথা শুনিবামাত্রেই বাবুরাম বাবু বরদাপ্রসাদ বাবুর প্রতি দুই তিন লহমা চাহিয়া অশ্রুপাত করিতে লাগিলেন। রামলাল চোখের জল মুছিয়া দিয়া দুই এক কুশী দুগ্ধ দিলেন —কিঞ্চিৎ সুস্থ হইয়া বাবুরাম বাবু মৃদু স্বরে বলিলেন —ভাই বরদাপ্রসাদ! আমি এক্ষণে জানলুম যে তোমার বাড়া জগতে আমার আর বন্ধু নাই —আমি লোকের কুমন্ত্রণায় ভারি২ কুকর্ম্ম করিয়াছি, সেই সকল আমার এক২ বার স্মরণ হয় আর প্রাণটা যেন আগুনে জ্বলিয়া উঠে —আমি ঘোর নারকী —আমি কি জবাব দিব? আর তুমি কি আমাকে ক্ষমা করিবে? এই বলিয়া বরদা বাবুর হাত ধরিয়া বাবুরাম বাবু আপন চক্ষু মুদিত করিলেন। নিকটে বন্ধু বান্ধবেরা ঈশ্বরের নাম উচ্চারণ করিতে লাগিল ও বাবুরাম বাবুর সজ্ঞানে লোকান্তর হইল।
২০ মতিলালের যুক্তি, বাবুরাম বাবুর শ্রাদ্ধের
ঘোঁট্, বাঞ্ছারাম ও ঠকচাচার অধ্যক্ষতা, শ্রাদ্ধে
পণ্ডিতদের বাদানুবাদ ও গোলযোগ।
পিতার মৃত্যু হইলে মতিলাল বাটীতে গদিয়ান হইয়া বসিল। সঙ্গী সকল এক লহমাও তাহার সঙ্গছাড়া নয়। এখন চার পো বুক হইল —মনে করিতে লাগিল, এত দিনের পর ধূমধাম দেদার রকমে চলিবে। বাপের জন্য মতিলালের কিঞ্চিৎ শোক উপস্থিত হইল —সঙ্গিরা বলিল, বড় বাবু! ভাব কেন—বাপ মা লইয়া চিরকাল কে ঘর করিয়া থাকে?