২১ মতিলালের গদিপ্রাপ্তি ও বাবুয়ানা, মাতার প্রতি
কুব্যবহার —মাতা ভগিনীর বাটী হইতে গমন
ও ভ্রাতাকে বাটীতে আসিতে বারণ ও তাহার
অন্য দেশে গমন।
বাবুরাম বাবুর শ্রাদ্ধে লোকের বড় শ্রদ্ধা জন্মিল না, যেমন গর্জন হইয়াছিল তেমন বর্ষণ হয় নাই। অনেক তেলা মাথায় তেল পড়িল —কিন্তু শুক্না মাথা বিনা তৈলে ফেটে গেল। অধ্যাপকদিগের তর্ক করাই সার, ইয়ার গোচের বামুনদিগের চৌচাপটে জিত। অধ্যাপকদিগের নানা প্রকার কঠোর অভ্যাস থাকাতে এক্রোকা স্বভাব জন্মে —তাঁহারা আপন অভিপ্রায় অনুসারে চলেন —সাটে হাঁ না বলেন না। ইয়ার গোচের ব্রাহ্মণেরা সহর ঘেঁষা—বাবুদিগের মন যোগাইয়া কথাবার্ত্তা কহেন —ঝোপ বুঝে কোপ মারেন, তাঁহারা সকল কর্ম্মেই বাওয়াজিকে বাওয়াজি তরকারিকে তরকারি! অতএব তাঁহাদিগের যে সর্ব্ব স্থানে উচ্চ বিদায় হয় তাহাতে আশ্চর্য্য কি? অধ্যক্ষেরা ভালো থলিয়া সিঞাইয়া বসিয়াছিলেন —ব্রাহ্মণ পণ্ডিত ও কাঙালী বিদায় বড় হউক বা না হউক তাহাদিগের নিজের বিদায়ে ভাল অনুরাগ হইল। যে কর্ম্মটি সকলের চক্ষের উপর পড়িয়াছিল ও এড়াইবার নয় সেই কর্ম্মটি রব করিয়া হইয়াছিল কিন্তু আগু পাছুতে সমান বিবেচনা হয় নাই। এমন অধ্যক্ষতা করা কেবল চিতেন কেটে বাহবা লওয়া।
শ্রাদ্ধের গোল ক্রমে মিটে গেল। বাঞ্ছারাম ও ঠকচাচা মতিলালের বিজাতীয় খোসামোদ করিতে লাগিল। মতিলাল দুর্বল স্বভাব হেতু তাহাদিগের মিষ্ট কথায়