শূয়র —তুই জানিসনে যে আমরা সব সৌদাগরি করতে যাচ্ছি? ধনা উত্তর করিল —যদি তোরা সৌদাগর হস্ তো সৌদাগরি কর্ম্ম গলায় দড়ি দিয়া মরুক!
২৩ মতিলাল দলবল সমেত সোণাগাজিতে আসিয়া
একজন গুরুমহাশয়কে তাড়ান; বাবুয়ানা বাড়া-
বাড়ি হয়, পরে সৌদাগরি করিয়া দেনার ভয়ে প্রস্থান
করেন।
সোণাগাজির দরগায় কুনী বুনী বাসা করিয়াছিল —চারি দিক্ শেওলা ও বোনাজে পরিপূর্ণ —স্থানে২ কাকের ও শালিকের বাসা —ধাড়ীতে আধার আনিয়া দিতেছে —পিলে চিঁ২ করিতেছে —কোন খানেই এক ফোঁটা চুন পড়ে নাই —রাত্রি হইলে কেবল শেয়াল-কুকুরের ডাক শোনা যাইত ও সকল স্থানে সন্ধ্যা দিত কি না তাহা সন্দেহ। নিকটে একজন গুরুমহাশয় কতকগুলি ফরগুল গলায় বাঁধা ছেলে লইয়া পড়াইতেন —ছেলেদিগের লেখাপড়া যত হউক বা না হউক, বেতের শব্দে ত্রাসে তাহাদিগের প্রাণ উড়িয়া যাইত —যদি কোন ছেলে একবার ঘাড় তুলিত অথবা কোঁচড় থেকে এক গাল জলপান খাইত তবে তৎক্ষণাৎ তাহার পিঠে চট্২ চাপড় পড়িত। মানব-স্বভাব এই যে কোনো বিষয়ে কর্ত্তৃত্ব থাকিলে যে কর্ত্তৃত্বটি নানারূপে প্রকাশ চাই তাহা না হইলে আপন গৌরবের লাঘব হয় —এই জন্য গুরুমহাশয় আপন প্রভুত্ব ব্যক্ত করণার্থ রাস্তার লোক জড়ো করিতেন—লোক দেখিলে সেই দিকে দেখিয়াআপন পঞ্চম স্বরকে নিখাদ করিতেন ও লোক জড় হইলে তাঁহার সরদারি অশেষ