পাতা:আলালের ঘরের দুলাল.djvu/১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
[৵৹]

বত্রীশসিংহাসন প্রভৃতি গ্রন্থ পাঠ করিয়াই পাঠকগণের অপ্রশস্ত অন্তঃকরণ সন্তুস্ট হইত, তখন কাহারও এরূপ বোধ ছিলনা যে অমিত্রাক্ষর কবিতা বা সর্ব্ব রসাধার সৎভাব পূর্ণ নব২ নবন্যাস (Novel) হইতে পারে। কিন্তু এক্ষণে শ্রীযুক্ত মাইকেল মধুসূদন দত্তের তিলোত্তমাদি কাব্য পাঠে সজ্জন সমূহ বিলক্ষণ বুঝিয়াছেন, যে ৰাঙ্গালায় অমিত্রণক্ষর কাব্যের মধুরতা অত্যদ্ভুত এবং শ্রীযুক্ত টেকচাঁদ ঠাকুরের আলালের ঘরের দুলালাদি গ্রন্থই বাঙ্গালা নবন্যাশের মনোহারিত্ত্ব ও হিতকারিত্ত্বের পরিচয় স্থল। কবিবর মাইকেল যে রূপ বাঙ্গালায় অমিত্রাক্ষর কবিতার শ্রষ্ঠা নবপদ্যাতিতে নবন্যাস রচনাবিষয়ে সুধীশ্রেষ্ঠ টেকচাঁদ ঠাকুরও সেই রূপ। ইনিই বঙ্গভাষানুরাগীদিগের অন্তর হইতে “বারাণশী নগরীতে প্রতাপমুকুট নামে” “মিথিলা নগরে গুণাধিপ নামে” ইত্যাদি প্রকার পরম্পরাগত গৌরচঙ্গিক-প্রিয়তা দূর করিয়াছেন, এবং পাঠকসমূহকে নিতান্ত বালকগণের শ্রবণ-প্রিয় পিতামহীর কথিত এক রাজা ও তার দো সো দুই রাণীর গল্পের ন্যায় গল্পপাঠে অনর্থক কালাতিপাত হইতে নিবৃত্ত করিবার পথ প্রদর্শন করিয়াছেন। প্রশংসিত টেকচাঁদ ঠাকুর মহাশয় বাঙ্গালায় অতি সরল ও সর্ব্বসাধারণের অনায়াসে বোধগম্য রচনা-পদ্ধতি প্রচার করিয়াছেন। বর্ত্তমান গ্রন্থে যদিও কাদম্বরীর উৎকট-পদ প্রয়োগ-পটুতা, শকুন্তলার ললিত-পদবিন্যাস মাধুর্য্য, বাসবদত্তার অনুপ্রাস ছটা ও তিলোত্তমার ভাব ঘটা নাই; যদিও ইহার আখ্যায়িকা ভাগ