৩০ মতিলালের বারাণসী গমন ও সৎসঙ্গ লাভে চিত্ত
শোধন; তাহার মাতা ও ভগিনীর দুঃখ, রামলাল ও
বরদা বাবুর সহিত সাক্ষাৎ—পরে তাহাদের মতিলালের
সঙ্গে দেখা, পথে ভয় ও বৈদ্যবাটীতে প্রত্যাগমন।
সদুপদেশ ও সৎসঙ্গে সুমতি জন্মে, কাহার অল্প বয়সে হয় —কাহার অধিক বয়সে হইয়া থাকে। অল্প বয়সে সুমতি না হইলে বড় প্রমাদ ঘটে —যেমন বনে অগ্নি লাগিলে হু২ করিয়া দিগ্দাহ করে অথবা প্রবল বায়ু উঠিলে একেবারে বেগে গমন করত বৃক্ষ অট্টালিকাদি ছিন্নভিন্ন করিয়া ফেলে সেইরূপ শৈশবাবস্থায় দুর্মতি জন্মিলে ক্রমশঃ রক্তের তেজে সতেজ হওয়াতে ভয়ানক হইয়া উঠে। এ বিষয়ের ভুরি২ নিদর্শন সদাই দেখা যায়। কিন্তু কোন২ ব্যক্তি কিয়ৎকাল দুর্মতি ও অসৎ কর্ম্মে রত থাকিয়া অধিক বয়সে হঠাৎ ধার্ম্মিক হইয়া উঠে, ইহাও দেখিতে পাওয়া যায়। এইরূপ পরিবর্ত্তনের মূল সদুপদেশ বা সৎসঙ্গ। পরন্তু কাহারো দৈবাৎ কাহারো বা কোন ঘটনায় কাহারো বা একটি কথাতেই কখন২ হঠাৎ চেতনা হইয়া থাকে —এরূপ পরিবর্ত্তন অতি অসাধারণ।
মতিলাল যশোহর হইতে নিরাশ হইয়া আসিয়া সঙ্গিদিগকে বলিলেন—আমার কপালে ধন নাই আর ধন অন্বেষণ করা বৃথা, এক্ষণে উত্তর পশ্চিম অঞ্চলে কিছু দিনের জন্য ভ্রমণ করিয়া আসি —তোমরা কেহ আমার সঙ্গে যাবে? সকলেই লক্ষ্মীর বরযাত্রী—অর্থ হাতে থাকিলে কাহাকেও ডাকিতে হয় না —অনেকে আপনা আপনি আসিয়া জুটে