পাতা:আলালের ঘরের দুলাল.djvu/২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
[ ৬ ]

হইল। এক দিবস মুন্সি সাহেব হেঁট হইয়া কেতাব দেখিতেছেন ও হাথ নেড়ে সুর করিয়া মস্‌নবির বয়েত্‌ পড়িতেছেন ইত্যবসরে মতিলাল পিছন দিগ্ দিয়া একখান জ্বলন্ত টিকে দাড়ির উপর ফেলিয়া দিল তৎক্ষণাৎ দাও২ করিয়া দাড়ি জ্বলিয়া উঠিল। মতিলাল বলিল কেমন রে বেটা শোর খেকো নেড়ে আর আমাকে পড়াবি? মুন্সি সাহেব দাড়ি ঝাড়িতে২ ও তোবা২ বলিতে বলিতে প্রস্থান করিলেন এবং জ্বালার চোটে চীৎকার করিয়া কহিলেন এস্ মাফিক বেতমিজ আওর বদ্‌জাৎ লেড়কা কবি দেখা নাই—এস্ কাম্সে মুল্কমে চাস কর্ণা আচ্ছি হ্যায়। এস্ জেগে আনা বি হারাম হ্যায়—তোবা—তোবা—তোবা!!!


২ মতিলালের ইংরাজী শিখিবার উদ্যোগ ও

বাবুরাম বাবুর বালীতে গমন।

 মুন্সি সাহেবের দুর্গতির কথা শুনিয়া বাবুরাম বাবু বলিলেন মতিলাল তো আমার তেমন ছেলে নয়··· সে বেটা জেতে নেড়ে—কত ভালো হবে? পরে ভাবিলেন যে ফার্সির চলন উঠিয়া যাইতেছে, এখন ইংরেজী পড়ানো ভাল। যেমন ক্ষিপ্তের কখন কখন জ্ঞানোদয় হয় তেমনি অবিজ্ঞ লোকেরও কখন কখন বিজ্ঞতা উপস্থিত হয়। বাবুরামবাবু ঐ বিষয় স্থির করিয়া বিবেচনা করিতে লাগিলেন আমি বারাণসী বাবুর ন্যায় ইংরেজী জানি—“সরকার কম স্পিক নাট” আমার নিকটস্থ লোকেরাও তদ্রূপ বিদ্বান্, অতএব একজন বিজ্ঞ ব্যক্তির নিকট পরামর্শ লওয়া কর্ত্তব্য। আপন কুটুম্ব ও আত্মীয়দিগের নাম স্মরণ করাতে মনে হইল বালীর বেণী বাবু বড় যোগ্য লোক। বিষয় কর্ম্ম করিলে তৎপরতা জন্মে।