সূর্য্য অস্ত না হইতে২ মতিলাল পুলিশে আনীত হইল, তথায় দেখিল যে হলধর, গদাধর ও পাড়ার রামগোবিন্দ, দোলগোবিন্দ, মানগোবিন্দ প্রভৃতিকেও ধরিয়া আনিয়াছে। তাহারা সকলে অধোমুখে একপাশে দাঁড়াইয়া আছে। বেলাকিয়র সাহেব ম্যাজিষ্ট্রেট—তাঁহাকে তজ্বিজ্ করিতে হইবে, কিন্তু তিনি বাটী গিয়াছেন, এজন্য সকল আসামীকে বেনিগারদে থাকিতে হইল।
৫ বাবুরাম বাবুকে সংবাদ দেওনার্থে প্রেমনারায়ণকে
প্রেরণ, বাবুরামের সভাবর্ণন, ঠকচাচার পরিচয়
বাবুরামের স্ত্রীর সহিত কথোপকথন, কলিকাতায়
আগমন, প্রভাতকালীন কলিকাতার বর্ণন, বাবুরা-
মের বাঞ্ছারামের বাটীতে গমন, তথায় আত্মীয়দি-
গের সহিত সাক্ষাৎ ও মতিলাল সংক্রান্ত কথোপ
কথন।
“শ্যামের নাগাল পালাম না গো সই—ওগো মরমেতে মরে রই”—টক্—টক্—পটাস্—পটাস্, মিয়াজান গাড়োয়ান এক২ বার গান করিতেছে—টিটকারি দিতেছে ও শালার গোরু চল্তে পারে না বলে লেজ মুচড়াইয়া সপাৎ২ মারিতেছে। একটু২ মেঘ হইয়াছে—একটু২ বৃষ্টি পড়িতেছে—গোরু দুটা হন্২ করিয়া চলিয়া একখানা ছকড়া গাড়ীকে পিছে ফেলিয়া গেল। সেই ছকড়ায় প্রেমনারায়ণ মজুমদার যাইতেছিলেন—গাড়ীখানা বাতাসে দোলে—ঘোড়া দুটা বেটো ঘোড়ার বাবা—পক্ষিরাজের বংশ—টংয়স২ডংয়স২ করিয়া চলিতেছে—পটাপট্ পটাপট্ চাবুক পড়িতেছে কিন্তু কোনোক্রমেই চাল বেগড়ায় না। প্রেমনারায়ণ দুইটা ভাত মুখে দিয়া সওয়ার