দিলে। তখন ভাব্লাম আমার জীবন যদ্দি এম্নি দাসীপনায় কাটে তবে তোমার কি দশা হবে? তুমি যাতে ভদ্রভাবে থাক্তে পারো তার উপায় হবে বোলে তোমায় স্কুলে পড়্তে দিলাম—লেখাপড়া শিখলে যা হোক একটা কিছু উপায় তোমার ভালোই হবে।
যদি কখনো নিরুপায় বোধ করো তবে তোমার স্বামীর আশ্রয় নিয়ো—সে যদিও আবার বিয়ে করেছে, তবু নিজের স্ত্রীকে একেবারে ফেল্তে পার্বে না। তোমার স্বামীর নামটা! তার অপছন্দ হওয়াতে সে এখন নাম বদ্লেছে—এখন তার নাম পরিতোষ ঘোষাল, সে কল্কাতাতেই খবরের কাগজের কাজ করে। তুমি তার নাম জানো, কিন্তু তোমার স্বামীর নাম আগে যা ছিল তাকেই স্বামী বোলে জানো বোলে এই পরিতোষ যে তোমার স্বামী, তা তুমি জানো না। আমি তার চেহারা বর্ণনা কর্ছি—তুমি মিলিয়ে নিয়ো!—ইত্যাদি।
সেই চিঠিতে পরিতোষের বর্ণনা পড়িয়া মলিনার মন নিঃসন্দেহ হইল যে এই পরিতোষই তার এতকালের নিরুদ্দিষ্ট স্বামী। মলিনা মার চিঠি কোলে করিয় বসিয়া অনেকক্ষণ ভাবিল। তার পর উঠিয়া, পরিতোষকে চিঠি লিখিল—
শ্রীচরণকমলে প্রণাম ও নিবেদন,
আপনি ডাক্তার-বাবুর চিঠি চেয়ে গিয়েছিলেন, তাঁকে আমায় আশ্রয় দিতে বাধ্য কর্বার জন্যে। তিনি ও তাঁর স্ত্রী আমাকে আশ্রয় দিতে এখনো সম্মত আছেন, আমিই স্বেচ্ছার সে দান প্রত্যাখ্যান কর্ছি। সুতরাং কাউকে বাধ্য কর্বার আবশ্যক নেই বোলে ডাক্তার-বাবুর চিঠি তাঁকেই ফিরিয়ে দিয়েছি।
আজ আমার মার একখানা চিঠি পেলাম, তিনি মর্বার আগে লিখে