বুকে বসাই নোখ,
রক্তে গিলি ঢোক।
হাড় ভাঙি আর ঘাড় ভাঙি
আর দিই কোপ
ঝোপ বুঝে কোপ।
আঁদাড়ে কোপ, পাদাড়ে কোপ।
“চোপচোপ” বলে হুতুম সবাইকে থামিয়ে গম্ভীর স্বরে আঁধারের স্তুতি আওড়ালেন, “নিকুম রাত, দুপুর রাত, নিশুতি রাত। কেষ্ট পক্ষের কষ্টি পাথর কালো আকাশের কালে রাত। বর্ষাকালের কাজল মাখা পিছল রাত। নিখুত রাত। কালোর পরে একটি খুত তারার টিপ। ভয়ংকরী নিশীথিনী, বিরূপ ঘোর, ছায়ার মায়া, থাকুন, তিনি রাখুন। নিশাচর নিশাচরী রক্তপাত করি,আচম্বিতে নিঝুম রাতে, ফুপুর রাতে। নষ্টচন্দ্র, ভ্রষ্ট তারা, ভিতর-বার অন্ধকার-রাত সারারাত। নিঝুম স্থপুর, নিখুত দুপুর, অফুর রাত।”
হুতুম পেচা চুপ করলেন। খানিক চারি দিক যেন গমগম করতে লাগল, কারু সাড়াশব্দ নেই, অন্ধকারে কেবল ছুচোর খুসখাস আর বেড়ালের গা-চাটার চটচট শোনা যেতে লাগল। পাকুড়তলায় এত বড়ো গম্ভীর মজলিস কোনোদিন বসে নি।
এইবার বয়েসে সবার বড়োচিলে পেচার পালা। সে চড়া গলায় চীৎকার করে শুরু করলে, “ভাই সব।” সব জলন্ত চোখগুলো অমনি চিলের দিকে ফিরল। “ভাই সব, আমরা আজ এই কতকালের পুরনো মিসকালো পাকুড়তলায় ঘুটঘুটে আঁধারে কেন এসেছি জান? খুন খুন খুন করতে, এ আমি চেচিয়েই বলব। কিসের ভয়। কাকে ভয়।” তার পর একেবারে নবমে গলা চড়িয়ে চিলে বললে, “ভয় করব না,চেচিয়েই বলি, কুঁকড়োটাচো-ও-ও-র”, ব’লেই বুড়োচিলের গলা ভেঙে গেল, সে খক খক করে কাসতে লাগল, আর অন্ত সব পেচা চেঁচাতে থাকল, “চোর। ডাকাত। সি দেল। বদমাশ। আমাদের সর্বস্ব নিলে।”
চড়াই অমনি বলে উঠল, “কী নিলে শুনি।”
“আমাদের আনন্দ, আমাদের তেজ সবই হরণ করছে জান না?” ব’লে পেচাগুলো চড়াইয়ের