দিকে কটমট করে চাইতে লাগল।
চড়াই একটু দূরে সরে একটা বাঁশঝাড়ে বসে শুধলে, “তোমাদের তেজ কেমন করে হরণ করলে সে"
“কেন, গান গেয়ে। তার স্বর শুনলেই আমাদের দুঃখু আসে, বেদনা বোধ হয়; সব পেচারই মন খারাপ হয়ে যায়, কেননা তার সাড়া পেলেই মনে পড়ে।”
“আলো আসছে।” ব’লেই চড়াই সট করে বাঁশঝাড়ে লুকল। হুতুম রেগে চড়াইকে বললে, “চুপ। খবরদার, ও জিনিসের নাম আর কোরো না, ও নাম শুনলেই রাত্রির মন চঞ্চল হয়ে যেন পালাই পালাই করতে থাকে।”
চড়াই বেরিয়ে এসে বললে, “আচ্ছা না-হয় দিন আসছে বলা যাক।” অমনি সব পেচা শিউরে উঠে চারি দিকে “উ আঁ” করতে লাগল আর কানে ডান ঢেকে বিকট মুখ করে বলতে লাগল, “থামো, থামো, চুপ, চুপ।” চড়াই আবার লুকিয়ে পড়ল, পেচাদের বিকট চেহারা দেখে তার একটু ভয় হল। হুতুম খানিক ভেবে বললে, “বলো-না বাপু, যা আসবার তা আসছে।” চড়াই বললে, “যাক ও কথা, যা আসবার তা তো আসবেই, কেউ তো ঠেকাতে পারবে না।”
হুতুম বললে, “তা তো জানি, কিন্তু আসবার আগে তার নাম কেন সে কুঁকড়ো করে বলে তো? তার কাঁসির মতো গলা শুনলেই সেই শেষ রাতের কথাই যে মনে আসে।”
“ঠিক, ঠিক, সত্যি, সত্যি।” সব পেচাই বলে উঠল। দিনের কথা মনে করতেও তাদের বিষম কষ্ট হচ্ছিল।
হুতুম বললে, “রাত যখন পোহাবার দিকেই যায়নি, তখন থেকেই পাজি কুঁকড়োটা গান শুরু করে....।”
সবাই অমনি বলে উঠল, “ডাকু হ্যায়। চোট্ট হ্যায়।” হুতুম আবার বললে, “বাকি রাতটুকু সে একেবারে কাঁচা-ঘুম ভাঙিয়ে মাটি করে দেয়।” চারি দিক থেকে অমনি চেঁচানি উঠল, “মাটি। মাটি। একেবারে মাটি। নেহাত মাটি।” তার পর একে একে সবাই আপনার আপনার দুঃখু জানাতে লাগল। ধুঁধুল বললে, “খরগোশের গর্তর কাছে খানিক বসতে না বসতে কুঁকড়োটা
৫