আলোর ফুলকি সোনালিয়া পাখি সকালের সোনার আলোতে একলাটি দাড়িয়ে কান পেতে তাঁর গান শুনছে একমনে, এ খবর পেয়ে কোন গুণীর না মনটা নরম হয়। কুঁকড়ো ঘাড় হেলিয়ে ভাবতে লাগলেন, ‘বলি কি না বলি।’ সোনালিয়া মিঠে সুরে আরম্ভ করলে রূপকথা, “এক যে ছিল কুঁকড়ো আর যে ছিল বনের টিয়া।” কুঁকড়ো ভুল ধরলেন, “হল না তো হল না তো।” তার পর নিজেই রূপকথার খেই ধরলেন, কুঁকড়োর পিয়া ছিল সোনালিয়, বনবাসিনী বনের টিয়।” সোনালিয়া বলে উঠল, “কুঁকড়ো টিয়াকে কখনো বললে না রূপকথার নিতিটুকু”, বলতেই কুঁকড়ো সোনালিয়ার কাছে এসে বললেন, “জানে, সে কথাটা কী? যেটা বনের টিয়েকে কুঁকড়ে বলতে সময় পেলে না? কথাটা হচ্ছে, তোমার সোনার আঁচল বসন্তের বাতাস দিয়ে গেল সোনালিয়া বনের টিয়া।” সোনালি গম্ভীর হয়ে বললে, “কী বকছেন আপনি। রূপকথা শোনাতে হয় তো আপনার চার বউকে শোনান গিয়ে, খুশি হবে”, ব’লেই সোনালি অন্য দিকে চলে গেল।
কুঁকড়ো রেগে গজ গজ করে ঘুরে বেড়ান, অনেকক্ষণ পরে সোনালি আস্তে আস্তে কুঁকড়োর কানের কাছে মুখ নিয়ে বললে, “একটা গান গাও-না।” কুঁকড়ো ফোঁস করে উঠলেন, সোনালি বললে, “বাসরে,একে বুঝি বলে গান!” তখন মিষ্টি স্বরে কুঁকড়ো ডাকলেন, “সো-ও-ও-ন, যেন শু্যামা পাখি সিটি দিলে, সোনালি অমনি আবদার ধরলেন, কুঁকড়োর গুপ্ত মস্তরটি শোনবার জন্যে। কুঁকড়ো খানিক এদিক ওদিক করে বললেন, “সোনালি, তুমি বাইরে যেমন খাটি সোনার বুকের ভিতরটাও যদি তেমনি তোমার খাটি হয় তবে তোমায় আমার গোপন কথাটি শোনাতে পারি”, ব’লে সোনালির মুখের দিকে অনেকক্ষণ চেয়ে থেকে যেন শুনতে লাগলেন, সোনালির বুকের মধ্যে থেকে ডাক আসছে কি না, বলে বলে।’ তার পর কুঁকড়ো আরম্ভ করলেন, “সোনালি পাখি, বুঝে দেখো আমি কী, সোনার শিঙার মতো বাক আমি বাজবার জন্তেই স্বষ্টি হয় নি কি জীবন্ত এক রোশন-চৌকি? জলের উপরে যেমন রাজহাস, তেমনি মুরের তরঙ্গে ভেসে বেড়াতেই আমার জন্ম, আমি চলেছি সুরের বোঝা শব্দের ভার বয়ে সোনার একটি মউরপঙখি, সকাল-বিকাল।”
সোনালিয়া বলে উঠল,“নেীকোর মতো ভেসে বেড়াতে তো তোমায় কোনোদিন দেখি নি,