পাতা:আশাকানন.pdf/১১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আশাকানন
১০১

চঞ্চল নয়ন তপোধন-পাশে
নিরবি শূন্যের 'পর;
যেন কালি-মাখা ঘোর গাঢ় মেঘ
শূন্যপথে উড়ি যায়;
ঝড়বেগে গতি দুলিয়া দুলিয়া
ধূম বিনির্গত তায়।
ভ্রমিছে সে মেঘ অন্ধকার করি
প্রসারে আকাশ যুড়ে;
সে মেঘের ছায়া পড়ে যার গায়
উত্তাপে তখনি পুড়ে।
শুকায় রুধির শরীরে আমার
তুণ্ডে নাহি সরে ভাষ,
অশ্রুপূর্ণ আঁখি ঋষির বদন
নিরখি পাইয়া ত্রাস।
ঋষি কহে “বৎস, অই কাল মেঘ
এ আশা-কাননে শিখা;
বৃথা যে এ বন উহার(ই) শরীরে
কালির অক্ষরে লিখা!
পক্ষী নহে উহা ও কালি মূরতি
করাল কালের ছায়া,
প্রাণিগণে দহি ঘুরে নিত্য এথা
এরূপে প্রসারি কায়া।”
বলিতে বলিতে ভুলিয়া আপনা
তপোধন কয় শোকে—
"হায় রে বিধাতঃ, এ কালিম ছায়া
ছড়ালি কেন ভূলোকে!
জগতে যা আছে মধুর সুন্দর
গঠিয়া তাহার পর
গঠিলে বিধাতঃ সকলের শ্রেষ্ঠ
প্রাণীরূপ মনোহর?