এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১০২
হেমচন্দ্র-গ্রন্থাবলী
বিষমাখা তার কণ্টক আবার
গঠিলে কেন এ কাল?
মর্ত্তে পাঠাইয়া স্বর্গের পুতলি
পথে দিলে কাঁটাজাল!
সুচিত্র পটেতে কালি মাখাইতে
কেন এত ভাল বাস?
জগতের সুখ নিদারুণ বিধি
এরূপে কেন বিনাশ?”
এরূপে বিলাপ করেন সে ঋষি
আতঙ্কে সম্মুখে চাই,
দূর প্রান্ত দেশে গৈরিক-মিশ্রিত
স্তূপ নিরখিতে পাই।
সেই স্তূপ-অঙ্গে অন্ধ গুহা এক,
উত্থিত হইয়া তায়,
ঘন ঘন শ্বাস প্রচণ্ড বাতাস
ঝড়ের আকারে ধায়।
অতি কষ্টে দোঁহে সেই গুহা-পাশে
আসি হই উপনীত;
নিকটে আসিয়া দেখিয়া স্তম্ভিত,
ভয়ে চিত্ত চমকিত।
গহ্বর-ভিতরে বসি এক প্রাণী
প্রচণ্ড নিশ্বাস ছাড়ে;
সেই দীর্ঘশ্বাসে জনমি বাতাস
ঝড় সম বেগে বাড়ে।
কালির বরণ পাষাণ-নির্ম্মিত
যেন সে কঠিন কায়া;
শরীরে বিস্তৃত যেন অন্ধকার
ঘোরতর গাঢ় ছায়া।
মাঝে মাঝে মাঝে কাঁপে সর্ব্ব অঙ্গ
হুঙ্কার-ধ্বনি নাসায়;