এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১২
হেমচন্দ্র-গ্রন্থাবলী
পল্লবে বসিয়া পার্থী নানা জাতি
মধুর কৃজিত করে;
নাচিয়া নাচিয়া গ্রীবা-ভঙ্গি করি
ময়ূর পেখম ধরে;
কুছ কুহু কুহু কুহরে গলায়
কোকিল প্রমত্ত ভাব,
মুহু মুহু মুহু তনু-স্নিগ্ধকর
সুগন্ধ সুধার স্রাব;
সরোবর-কোলে প্রফুল্ল কমল,
কুমুদ, কহ্লার ফুটে,
গুঞ্জরিয়া অলি কুসুমে কুসুমে
আনন্দে বেড়ায় ছুটে;
চলেছে সেখানে প্রাণী শত শত
সদা প্রমুদিত প্রাণ,
সুমধুর সুরে পূরে বনস্থলী
আনন্দে করিয়া গান;
কেহ বা বলিছে "আজ নিরখিব
কুমুদরঞ্জন শোভা,
উঠিবে যখন গগনেতে শশী
জগজন-মনোলোভা;
আজি রে আনন্দে ধরিব হৃদয়ে
মধুর চাঁদের কর,
কোমল করিয়া কুসুম সে করে
রাখিব হৃদয়’পর;
তাহার উপরে রাখিয়া প্রিয়ারে,
কত যে পাইব সুখ।
কখন হেরিব গগনে শশাঙ্ক,
কখন তাহার মুখ।”
কহে কোন জন বেণুরবে সুখে
"কোথা পাব হেন স্থান;