এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আশাকানন
১৯

বাণীশূন্য হয়ে প্রমাদে ক্ষণেক
স্তম্ভিত ভাবেতে রই;
পরে কুতুহলে চাহি আশা-মুখ,
আশা বুঝি অভিপ্রায়
কহে “শক্তিরূপ প্রাণি-রঙ্গভূমে
এই দ্বারে হের তায়;
অসাধ্য ইহার নাহি এ ভবনে
যাহা ইচ্ছা তাহা করে;
জন্ম দৈত্যকুলে মানবমণ্ডলী
পুজে এরে সমাদরে।”
কহিয়া এতেক হৈয়ে অগ্রসর
আসিয়া দ্বিতীয় দ্বার
আশা কহে “বৎস, দেখ এ দুয়ারে
প্রাণী এক চমৎকার।”
দ্বিতীয় দ্বারেতে নিরখি বসিয়া
বৃদ্ধ প্রাণী একজন,
করি হেঁট মাথা বালুস্তৃপ পাশে
বালুকা করে গণন;
গুণিয়া গুণিয়া শিখর-সদৃশ
করিয়াছে বালুরাশি,
আবার গুণিয়া লয়ে ভার ভার
ঢালিছে তাহাতে আসি;
অন্ত কোন সাধ অন্য অভিলাষ
নাহি কিছু চিত্তে তার,
অনন্য মানসে বালি গুণি গুণি
করিছে শৈল-আকার;
অতি সাম্যভাব প্রকাশ বদনে
অণুমাত্র নাহি ক্লেশ,
অন্তরে শরীরে নহে বিকসিত
চাঞ্চল্য বিরক্তি লেশ।