এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আশাকানন
২৩
ফণিমালা গলে, অঙ্গ বিষে জ্বলে,
দিবা নিশি ধীরি ধীরি;
ব্রহ্মাণ্ড ভুবনে নাহি পাই স্থান
সুস্থির পরাণে থাকি,
শেষে আশা-পুরে আসি সুস্থ কিছু
এরূপে দুয়ার রাখি।
দেখি সুকুমার মানস তোমার
এ পুরী-ভ্রমণে তাপ
পাও যদি কভু, আসিও নিকটে,
ঘুচাইব সে সন্তাপ।”
শুনি ধৈর্য্য-বাণী হৈয়ে চমৎকৃত
চলিনু পঞ্চম দ্বার;
নিরখি সেখানে প্রহরী জনেক
প্রাণী অতি খর্ব্বাকার,
বামন আকৃতি সেই ক্ষুদ্র প্রাণী
কোদালি করিয়া হাতে,
করিছে খনন ধরণী-শরীর
নিত্য নিত্য অস্ত্রাঘাতে,
খনন করিয়া তুলিছে মৃত্তিকা
রাশিতে রাখিছে একা,
কলেবরে স্বেদ ঝরিছে সতত,
বদনে চিন্তার রেখা।
শুনি সেই দ্বারে প্রাণি-কোলাহল
নিবিড় জনতা তায়,
মুহূর্ত্তে মুহূর্ত্তে প্রাণী প্রবেশিছে
পতঙ্গ কীটের প্রায়;
বসন-ভূষণ- বিহীন শরীর
ক্লেদ ঘর্ম্ম স্বেদ মলা,
অঙ্গে পরিপূর্ণ ক্ষুধা তৃষ্ণাতুর
কেশজাল তাম্রশলা।