এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪৪
হেমচন্দ্র-গ্রন্থাবলী

চল এই দিকে তব মনোমত
পদার্থ দেখিতে পাবে,
এ পুরী-ভ্রমণ কৌতুক-লহরী
তখন নাহি ফুরাবে।”
এত কৈয়ে আশা চলে আগে আগে
সভয়ে পশ্চাতে যাই;
আসি কিছু দূর পুরী-মধ্যভাগে
অচল দেখিতে পাই।


চতুর্থ কল্পনা

যশঃশৈল—নিম্নভাগে প্রাণিসমাগম—আরোহণ-প্রথা—ভিন্ন ভিন্ন শিখর দর্শন—ভিন্ন ভিন্ন যশস্বী প্রাণিমণ্ডলীর কীর্ত্তিকলাপ দর্শন—বাল্মীকির সহিত সাক্ষাং।

নিকটে আসিয়া নিরখি সুন্দর
অপূর্ব্ব শিখর-শ্রেণী;
শিখরে শিখরে কনক প্রদীপ
যেন কিরণের বেণী।
শৈল চারি দিকে তৃষিত নয়ন
প্রাণী লক্ষ লক্ষ জন,
কুসুমে গ্রথিত মাল্য মনোহর
শূন্যে করে উৎক্ষেপণ;
ঘন ঘন ঘন হয় জয়ধ্বনি
ক্ষণেক নাহি বিশ্রাম,
যেন উর্ম্মিরাশি জলরাশি-অঙ্গে
গতি করে অবিরাম।
প্রাণিবৃন্দ আসি একে একে সবে
ক্রমে শৈলভলে যায়;
চূড়াতে জ্বলিছে মাণিকের দীপ
সঘনে দেখিছে তায়।