পাতা:আশুতোষ স্মৃতিকথা -দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२२• আশুতোষ-স্মৃতিকথা । শ্মশানে তাহার সৎকারের সময় উপস্থিত হইয়াছিলেন। কাশিমবাজার যাওয়ার সময়ে যিনি কত স্নেহে কথা বলিয়াছিলেন,-"তাঁহাকে জীবিত অবস্থায় আর তিনি দেখিতে পাইলেন না । আশুতোষের কন্যা কমলা দেবীর আকস্মিক বৈধব্য, এবং তাঁহার পুনরায় বিবাহ দেওয়া উপলক্ষে নানা ঝঙ্কাট এবং অতি অল্প সময়ের মধ্যে সেই কমলা দেবীর মৃত্যু বিবাহের শোচনীয় পরিণতি,-“এই সকল অবস্থার বৈগুণা তঁহাকে এক দিনও সোয়াস্তি দেয় নাই। তারপর এই কন্যার অকাল মৃত্যুতে র্তাহার হৃদয় বিদীর্ণ হইয়া গিয়াছিল। একদিকে পাটনার সেই জটিল সুবৃহৎ মামলা, তাহার নথিপত্র লইয়া দিবারাত্র ব্যস্ত থাকিতে হইয়াছে,-অন্যদিকে প্রিয়তম কনিষ্ঠ পুত্র বামাপাৰিৰিক অশান্তি প্রসাদ টাইফয়েড জ্বরে সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় শয্যাগত। আশু তোষকে একবার কলিকাতায়, একবার পাটনায় দারুণ উদ্বেগে । ছুটাছুটি করিতে হইয়াছে। জ্যেষ্ঠ পুত্র রমাপ্রসাদ এবং জামাতা প্রমথনাথ পাটনায়। এই বিপদে তিনি অভিভূত হইয়া পড়িয়াছিলেন। তঁহার চরিত্রের পাষাণ-প্রতিম সহিষ্ণুতা ও দৃঢ়তা ছিল,-কিন্তু একটি জায়গায় ভগবান তাহার চরিত্র কুসুম দিয়া গড়িয়াছিলেন,-উহা ছিল পারিবারিক স্নেহের জায়গাটুক। যিনি পরের গৃহের আধি-ব্যাধির কথা শুনিলে বিগলিত হইয়া পড়িতেন, তিনি নিজের গৃহের কষ্ট সহিতে পারিলেন না । বামাপ্রসাদের এই দারুণ রোগ এবং তজনিত আশঙ্কায় তঁহার প্রাণী অস্থির হইয়া উঠিল। এদিকে পাটনা হাইকোর্টে জরুরী আহবান। তিনি পুত্রকে দেখিতে আসিয়া বুঝিলেন,-ৰ্তাহার অবস্থা সঙ্কটাপন্ন,-তিনি এ | অবস্থায় পৃথিবীর সমস্ত ঐশ্বর্য্য পাইলেও কলিকাতা ছাড়িয়া যাইতে পারিতেন না । প্রধান বিচারপতিকে জানাইয়া ‘তার” করিলেন, দয়া করিয়া তিনি শুনানীর দিন পিছাইয়া দিলেন। বামা প্রসাদের অবস্থার একটু উন্নতি হইলে, সম্পূর্ণ আরোগা-লাভের পর তিনি তঁহাকে একটা DDDSDBBD BDBBBD BDBBB DDBB DD DBDBDBD SDDD BK S BBzz রোগ-শয্যায় বামাপ্রসাদ একটা ভাল মোটরগাড়ীর আবদার করিয়াছিলেন । মোটরগাড়ীর জন্য অর্ডার চলিয়া গেল। প্রিয় পুত্রের অবস্থার একটু উন্নতি