পাতা:আশুতোষ স্মৃতিকথা -দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিশিষ্ট JR 8 ) SYYKSDBD DBDBB BB DBDBBDJSDDB DBD BDB DBLD SDDDDD प्रश्न হারাইয়াছে, যিনি একটা সাম্রাজ্য স্থাপন করিতে পারিতেন।” ভারতবর্ষের উনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগে এবং বিংশ শতাব্দীর পূর্বভাগে তিনি কর্ম্ম-ক্ষেত্রে নিয়োজিত হইয়াছিলেন এবং তিনি তঁহার শ্রেষ্ঠ প্রচেষ্টা জন-শিক্ষার দিকেই প্রয়োগ করিয়াছিলেন, কারণ, তিনি জানিতেন যে, প্রকৃত শিক্ষাই মনুষ্য-জাতির পরম ইষ্টের সহায় এবং সাম্রাজ্যের প্রবলতম শক্তি। আশুতোষ তাহার দৃঢ় সঙ্কল্পের যাদু-কাঠি দ্বারা কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়কে স্পর্শ করিয়া ছিলেন এবং সেই স্পর্শে ইহা বাঙ্গলার জীবনের সম্যক অভিব্যক্তি-স্বরূপ জীবন্ত প্রতিষ্ঠানে পরিণত হইবার যোগ্য হইয়াছিল ! প্রাচীন জগতের সুবিখ্যাত কর্ম্ম-বীরগণের পংক্তিতে র্তাহার স্থান, তিনি তঁহাদেরই গোত্র,-কার্য্যতৎপরতায় তঁহাদেরই শ্রেণীভুক্ত, ত| তাদের অদম্য, শুভ্র জালাময়ী প্রেরণায় অনুপ্রাণিত, তাহদেরই মত অসংহত গতি-বিশিষ্ট, তাহাদেরই মত স্বীয় বিরাট শক্তির উপর আস্থা-সম্পন্ন, তঁাহাদেরই মত অসীম ও ক্লান্তিহীন । কর্ম্মতৎপর এবং তঁহাদেরই মত দুৰ্দমনীয় প্রতিকূলতায় নির্ভীক ও ধৈর্য্যশালী । কোন মহৎ বিষয়ের পরিকল্পনায় যে চির-উর্বর উদ্ভাবনী শক্তি পরাজয়েও শুধু সাহস উদ্বোধন করে, বাহুকে অসম-সাহসিক কার্য্যের জন্য বল-দৃপ্ত করে এবং কোন কার্য্যই অসম্ভব বলিয়া কুণ্ঠার উদ্রেক করে না,-চিত্তের সেইরূপ শক্তিতে ও বাহু-বলে আশুতোষের সমকক্ষ প্রায় কাহাকেও এ যুগে দেখা যায় না। তঁহার ধারণায় মানুষই কর্ত্তা,-সে অবস্থার দাস নহে । যাহারা তাহার সান্নিধ্যে আসিয়াছেন, তঁাহারাই বুঝিয়াছেন, তিনি গঠনকারী একটি বিরাটু প্রতিভা, তিনি ভাগ্যের স্রষ্টা, এবং জাতি ও সমাজের ভবিষ্যতের निम्ररु। । তাহার ব্যক্তিগত বৈশিষ্ট্য দুই ভাবে প্রকাশ পাইয়াছিল,—এক দিকে তিনি ছিলেন কর্ম্ম-বীর, অপর দিকে ভাব-প্রবণ ও কল্পনাশীল ; কিন্তু তাহার এই দুই বিভিন্ন গুণ পরস্পর বিরোধী হয় নাই। সচরাচর কর্ম্ম ও কল্পনা-এই দুই বিভিন্ন গুণ জীবনে পরস্পরের প্রতিকূল বুলিয়া মনে করা হয় ; কিন্তু আশুতোষের চরিত্রে কর্ম্ম ও কল্পনা, দুই ভগিনীর মত পরম ঐক্যের সঙ্গে একত্র কার্য্যকারী হইয়াছিল। যাহারা স্কুলদর্শী, তাহদের নিকট আশুতোষ প্রচণ্ড ও অফুরন্ত কর্ম্ম-শক্তির একটি আবাস-স্বরূপ ; কিন্তু অতি অল্প লোকেই জানিতেন যে, তিনি স্বপ্ন-রাজ্যের লোক এবং এক সুমহান স্বপ্নদ্রষ্টা । জীবনের নিভৃত কক্ষে তঁহাকে একক “দেখিবার র্যাহাদের সুবিধা ছিল, তাহারা জানিতেন যে, কর্ম্মের অবসরকালে কোনও কোনও শুভ মুহুর্তে র্তাহার দুইটি তেজোময় চক্ষুতে অপূৰ্ব ভবিষ্য-দৃষ্টির স্বন্দর জ্যোতিঃ ফুটিয়া উঠিত এবং সেই সেই মুহুর্তে তিনি আত্মহারা হইয়া যেন অজ্ঞাতসারে কল্পনা-রাজ্যে গা ঢালিয়া দিয়া আবিষ্ট হইয়া পড়িতেন । যিনি তঁাহার এই স্বল্পকাল-স্থায়ী ভাবাবেশ দেখিয়াছেন,—তিনি বুঝিয়াছেন যে, আশুতোষ এই স্থানেই

  • ७२