পাতা:আশুতোষ স্মৃতিকথা -দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করিব। প্রথমতঃ রাজনৈতিক ইতিহাস। সুদূর প্রাচীন কাল হইতে পলাশীর গ্রন্থকার মগধের রাজবংশের বর্ণনা করিয়াছেন-যেমন মৌর্য্য, সুঙ্গ, কান্ধ, গুপ্ত-বংশ প্রভৃতি। ইহার কৈফিয়ৎস্বরূপ তিনি বলিয়াছেন : “বঙ্গদেশের শিক্ষা-দীক্ষার মূল-প্রস্রবণ মগধ কেন্দ্রস্থলে বিরাজিত ছিল ; মগধের উচ্চশিক্ষা । মগধের শিল্পকলা সমস্তই উত্তরকালে পূর্বদিক আশ্রয় করিয়া গৌড়ে প্রতিষ্ঠা ? লাভ করিয়াছিল, মগধকে বাদ দিয়া বাঙ্গালার ইতিহাস রচনা করা চলে না। খািলদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ও উহার বাঙ্গালার ইতিহাসে মগধকে বাদ দোেষ্ট্র ... I k লিখিয়াছেন “পূর্বভারতের সভ্যতািন্টু

বিশেষ করিয়া মগধের শিক্ষা-দীক্ষার আমরা বাঙ্গালীরাই উত্তরাধিকারী হইয়াছি? (১৭৪ পৃঃ ) ? আমরা এ বিষয়ে গ্রন্থকার বা রাখালবাবুর সাহিত একমত । হইতে পারি না। গ্রন্থকারের যুক্তি যদি সত্য বলিয়া গ্রহণ করা যায়, তবে ‘বৃহৎ বঙ্গ” নামক গ্রন্থে মগধের ইতিহাস না লিখিয়া ‘বৃহৎ মগধ’ নামক গ্রন্থে বাঙ্গালার ইতিহাস লেখাই যুক্তিযুক্ত বলিয়া মনে হয়। ] গুপ্তযুগ পর্য্যন্ত মগধের রাজবংশের আলোচনা করিয়া তৎপর গ্রন্থকার বাঙ্গালার রাজবংশের বিবরণ দিয়াছেন। সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন যুগের ধর্ম্মমত, সামাজিক রীতিনীতি, শিল্পকলা বিদ্যাচচ প্রভৃতির আলোচনা করিয়াছেন, গ্রন্থকার নিজেই ভুমিকায় আলোচ্য বিষয়ের যে একটি তালিকা দিয়াছেন, তাহ উদ্ধত করিতেছি। ! “এই পুস্তকে সিংহল ও বঙ্গভাষার সঙ্গে সাদৃশ্য দেখাইতে চেষ্টা করিয়াছি ; জৈন ও বৌদ্ধধর্ম্মের আলোচনা করিয়াছি ; নব্য ন্যায় ও স্মৃতির মত জটিল ও একান্ত দুরূহ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করিয়া নিজের অসামর্থ্য বিশেষ করিয়া উপলদ্ধি করিয়াছি। বৌদ্ধবিহার, নবদ্বীপের 6छादन বাঙ্গালার গণিত, মসলিন ও রেশমের । ব্যবসায়, কৃষিতত্ত্ব, শৈব, শাক্ত, সৌর ও বৈষ্ণবধর্ম্ম, তন্ত্রশাস্ত্র, সহজিয়া, মস্করীদের চিত্র, শঙ্খ ব্যবসায়, কৌলিন্য ও শিল্পসম্বন্ধে নানারূপ আলোচনা, দীপঙ্কর, জয়দেব, মহাপ্রভু চৈতন্য ও র্তাহার বহুসংখ্যক পার্শ্বদগণের জীবনী এবং নানা প্রাদেশিক ইতিহাস লইয়া আমি চচ্চা করিতে চেষ্টা পাইয়াছি।” ( ১৮৭০/০ পৃঃ) ।