পাতা:আশুতোষ স্মৃতিকথা -দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\9ኪም पातcउाष-ठिक९| মধ্যে দ্বিতীয় ব্যক্তি আশুবাবু অপেক্ষা ৬০ নম্বর কম পাইয়াছিলেন। ১৮৫ খৃষ্টাব্দের নবেম্বর মাসে ইনি গণিতে এম-এ পাশ করেন। ১৮৮৬ খৃষ্টাব্দে দ্বিতীয় বার বিশুদ্ধ গণিত, মিশ্র-গণিত ও পদার্থ-বিদ্যা-এই তিন বিষয়ে এম-এ পরীক্ষা দেন, র্তাহার পরীক্ষক ছিলেন বুথ, ইলিয়ট ও গিলিলাণ্ড। ১৮৮৬ খৃষ্টাব্দেই একাধিক বিষয়ে এম-এ পরীক্ষা দেওয়ার রীতি সর্ব্ব প্রথম প্রবর্ত্তিত হয়। ১৮৮৬ খৃষ্টাব্দেই তিনি গণিতে ষ্টডেণ্টশিপ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হ’ন এবং ঐ বৎসর আশুতোষ সংস্কৃত ও ইংরেজী-এই দুই বিষয়ে পুনরায় ষ্টডেণ্টশিপ পরীক্ষা দেওয়ার প্রার্থী হইয়াছিলেন। ইলিয়ট সাহেব ও গুরুদাসবাবু উভয়ে তাহার আবেদনের বিরোধী হইলেন ; ইলিয়ট বলিলেন, “এমন ভাল ছেলেকে বারংবার এই পরীক্ষা দিতে অনুমতি দেওয়া হইলে অপরের প্রতি অবিচার করা হইবে।” গুরুদাস বন্দোপাধ্যায় বলিলেন, “এই পরীক্ষা একের অধিক বার একজনের দেওয়ার নিয়ম নাই। সুতরাং তঁহার আবেদন অগ্রাহ হইল।” আশুতোষ এম-এ’র প্রথম বাঙ্গালী পরীক্ষক । আগে সংস্কৃত, আরবী, পারসি প্রভৃতি বিষয় ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চ পরীক্ষাগুলির পরীক্ষক সর্ব্বদাই ইংরেজের হইতেন ; যে বৎসর আশুতোষ দ্বিতীয় বার এম-এ পাশ করেন, তাহারপর বৎসরই অর্থাৎ ১৮৮৭ খৃষ্টাব্দের মাচ্চ মাসে তিনি এম-এ পরীক্ষকের পদের জন্য প্রার্থী হ’ন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতী ছাত্র হইলে ও সহজে এই বিষয়ে সফল হইতে পারেন নাই । সিণ্ডিকেটে তাহার বিষয়' । ২য়ী পেশ কগা কাটাকাটি হইয়াছিল। তঁহার পক্ষে ও বিপক্ষে মোট সাতজন দাড়াইলেন ; স্যার আলফ্রেড ক্রফটু, জজ চন্দ্রীমাধব ঘোষ, রেভারে ও জে উইল সন, ডাঃ মহেন্দ্রলাল সরকার, গুরুদাস বন্দোপাধ্যায় (তখনও তিনি জজ হ’ন নাই), ডাক্তার কানাইলাল দে ও মিঃ এচ জে কটন। এই সাত জনের মধ্যে চার জন্য তঁহার পক্ষে ছিলেন, বাকী তিন জন বিপক্ষ। হাইকোটের উকিল মহেশচন্দ্র চৌধুরী নিরপেক্ষ রহিলেন । সুতরাং অধিকাংশের ভোটের জোরে আশুতোষেরই জয় হইল । ১৮৯১ খৃষ্টাব্দ পর্যােস্ত আশুতোষ এম. এ’র পরীক্ষকের পদ অলঙ্কাত করিয়াছিলেন । এই নিয়োগের সময় ডাঃ সরকার বৃক্ষত সহায়তা তিনি চিরদিন স্মরণ রাখিয়াছিলেন । তিনি ক্রমাগত তিন বৎসর “ঠাকুর ল-লেকচারে'র ক্লাসে পাঠ করিয়াছিলেন, এবং 27ಕ'