পাতা:আশুতোষ স্মৃতিকথা -দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sa 8 আশুতোষ-স্মৃতিকথা শেষ মুহুর্ত্ত পর্যন্ত। যাহা ভাল বুঝিব, করিব ; কোন লোকের খাতিরে বা ভয়ে কিছু করিব না। আমার হাতে যে টুকু আছে, সে টুকু করিতে কোন ক্রটি হইবে না। তা’র পরে ফল দেওয়ার যিনি কর্ত্তা, তিনি বিধান করিবেন। আমার কর্ত্তব্য আমি নির্ভয়ে করিয়া যাইব, জানিবেন। র্তাহার একটা বিধান আছে, তাহাই বড় বিধান। অন্য কাহারও বিধানের কাছে কিছুতেই মাথা হেঁট করিব না,-যদি তাহ অন্যায় বুঝি।” তিনি ১৯২২ সনের ২রা ডিসেম্বর তারিখে সিনেট-সভায় বক্তৃতা-কালেও এই কথাই বলিয়াছিলেন : "Do not my friends, believe for a moment that there is no १-विधान Providence. If Science or Philosophy has taught you that, get rid of the blunder. If it is the desire of the Providence that high education should disappear from Bengal, let His will be carried out; but I have an unalterable faith in Providence, that has been my one sole inspiration in moments of trials and tribulations." [ বন্ধুগণ, আপনারা মনে করিবেন না যে, বিধাতা বলিয়া কেহ নাই । যদি দর্শন বা বিজ্ঞান আপনাদিগকে ইহাই শিখাইয়া থাকে, তবে সেই ভ্রান্ত ধারণী দূর করুন। যদি সেই বিধাতার ইচ্ছ। ইহাই হইয়া থাকে যে, বঙ্গদেশ হইতে উচ্চ শিক্ষা অন্তৰ্হিত হইবে, তবে তঁাহার ইচ্ছাই পূর্ণ হউক। কিন্তু আমার ভগবানের উপর অটল বিশ্বাস আছে। বিপদ ও পরীক্ষার মুহুর্তে সেই বিশ্বাসই আমার চিরকালই শক্তির উৎস-স্বরূপ হইয়াছে। ] এই কথা কেবল মুখের কথা নহে, বীর-প্রকৃতি আশুবাবুর এই অটল বিশ্বাস অতি দুলভ গুণ। তিনি সহসা ভাবের দ্বারা চালিত হইয়া কিছু করিতেন না। সর্বদা লোকের উপকারী ছিলেন, কাহারও অপকার করিবার বুদ্ধি তাহার ছিল না। তঁহার সুচিন্তিত কর্ম্ম-ধারা বিশ্বাসের লৌহ-ভিত্তি উপর প্রতিষ্ঠিত ছিল, তাহা হইতে র্তাহাকে টলান কাহারও সাধ্যায়ত্ত ছিল " | লোকে ভাবিত এবম্বিধ কঠোর স্বভাবের লোকের নিকট ধর্মের আবির্ণী" আর কি সাড়া পাইবে ? কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তিনি অনেক ধার্ম্মিক বলিয়া খ্যাতি’