পাতা:আশ্চর্য্য প্রদীপ - গিরীশচন্দ্র ঘোষ.pdf/৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ᎼᎼ | || [ প্রথম অঙ্ক । ষো। আমায় তুমি এনেছ তাই এয়েছি – ফুল । ( কালকেতুকে) আর ঢাক্‌চ কি, ধরাত পড়লে ? কাল। আহ শোন না। হ্যাগ ঠাকুরুণ! মিছে কথা কয়ে কেন আমায় রাগাচ্চ ! না বুঝে যদি ঘরের বার হ’য়ে এসে থাক, ভেঙ্গে বল, সন্ধ্যে না হ’তে হ’তে তোমাঘ ঘরে রেখে আসি । ফুল্লরা তোমার সঙ্গে চলক্, আমি পিছনে ধনুর্ব্বাণ নিয়ে যাই। এ অবস্থায় কেউ দেখলে নানান কথা শুনতে হবে । পুরান কাপড় আর অবলাব জাত অনেক যত্নে রক্ষা পায়, ব্রাহ্মণ কন্যা তুমি এ কথাত তোমার জানতে বাকি নেই। যো ! আমায হাজার বল হাজার ভোলাও আমি তোমায ছেড়ে কিছুতেই যাচ্চি না ! তোমার বুকে আসন পেতে তবে আমার সোয়াস্তি হবে । কাল। পাপিণি ! স্বপণখাব মত এখনি তোর নাক্কান কেটে দেব ! শিগগির এখান থেকে পাল । যো । কিছুতেই যাব না। কাল। তবে আর নিস্তার নাই ( বাণ ত্যাগের উদ্যোগ ও স্তম্ভিত হওন । ) ফুল । আ-হ-হ কর কি ? স্ত্রীহত্যা ক’রোনা ! ( ধনু ধারণ ) সো। সাধ্য কি আমার অঙ্গস্পর্শ করে, ঐ দেখ তোমার হাতের ধনু হাতেই রইল। বাণত্যাগের ক্ষমতা নাই । কাল। তাই তো ! একি ! বালকের চেয়েও ষে এ বাহু দুর্ব্বল হ’লো, ফুল্লরারে আমার সে অমানুষী শক্তি কোথায় গেল ?