পাতা:আসাম ও বঙ্গদেশের বিবাহ পদ্ধতি - বিজয়ভূষণ ঘোষ চৌধুরী.pdf/১৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
১৩৮
নাম
১৩৮

________________

১৩৪ আসাম ও বঙ্গদেশের বিবাহ-পদ্ধতি অত্যাচার করিয়াছিলেন। তদবধি ঐ জিঘাংসু মহন্তগণের বংশের লােকেরা নাকি মটক নামে অভিহিত। মটকরা উপর ও মধ্যআসামের বহু হিন্দুর ঘৃণার পাত্র হইয়া আছেন এবং তাহাদের সংশ্রব হইতে বিচ্ছিন্ন হইয়া স্বতন্ত্রভাবে বাস করিতেছেন। উক্ত পুরণিমাটীমায়ামরা সত্রের কোনও ধৰ্মচার্য ঐ রাজবিদ্রোহী মহন্তদিগের সহিত যােগদান না করায় নিগ্রহীত হইয়াছিলেন এবং এখনও জ্ঞাতি সত্রের ধর্ম্মাচার্যসহ তাহাদের নিরতিশয় মনমালিন্য রহিয়াছে। পুরণিমাটীমায়ামরা সত্রের ধৰ্মচার্য্যকে এই হিসাবে মটক বলা যায় না। দিনজয়, গড়পারা ও মদাৰখাট সত্রের প্রভুরা মটক হইলেও সদাচারী। দিনজয় সত্রে অবস্থানকালে লেখক, শ্রীশ্রীযুত হৃদয়ানন্দচন্দ্র গােসাঞী প্রভুকে যুক্তি দিয়া মদারখাট সত্র হইতে চিদানন্দ গােসাএী কৃত মায়ামরা সত্রের গােসঞী বংশের চরিত আনাইয়া ছিলেন। দুঃখের বিষয়—স্বার্থসিদ্ধির এবং গৌরববৃদ্ধির জন্য এই চরিত পুথিখানির মধ্যে পরে বহু প্রক্ষিপ্ত পদ প্রবিষ্ট করা হইয়াছে। বর্ত্তমান কামরূপ ও গােয়ালপাড়া জেলায় অত্যল্প সংখ্যক প্রকৃত কায় বসবাস করিতেছেন। ধুবড়ী অঞ্চলের রাঙ্গামাটীর প্রাচীন রাঙ্গামাটির দাস বংশ দাশবংশীয় কামরূপীয় কায়স্থ বুলচাঁদ বড়ুয়ার তথা গৌরীপুরের কন্যাকে কোচরাজ বংশীয় খগেন্দ্রনারায়ণ ভূম্যাধিকার বংশ নাজির দেও বিবাহ করিয়াছিলেন। মুনসী যদুনাথ ঘােষ কৃত “জোপাখ্যানে” এই বিবাহের উল্লেখ আছে। উক্ত বুলচাদের বংশধর প্রসিদ্ধ ভূম্যধিকারী (জোপাধি প্রাপ্ত] শ্রীযুত প্রভাত চন্দ্র বড়ুয়া মহােদয়কে গোয়ালপাড়া জেলার ব্রাহ্মণ পণ্ডিত ও কায়স্থগণ শিষ্টাচারবশতঃ সমাজপতি’ বলিয়া স্বীকার ও সম্মান করিয়া থাকেন। অসমীয়া অপেক্ষা বাঙ্গালীর সহিত গাঢ়তর ঘনিষ্ঠতার ফলে স্বজাতীয় সমাজ সত্বেও ইনিই কলিকাতায় দক্ষিণরাঢ়ীয় কায়স্থের গৃহে সর্বপ্রথম বৈবাহিক সম্বন্ধ স্থাপনে সমর্থ [অবশ্য বিশেষ চেষ্টা করিয়া] হইয়াছেন।