পাতা:আহুতি - অপরেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় দৃশ্য। سیسے * سسستے পাটলীপুত্রের রাজপথ । ( কালাটক ও কর্ণাটক ) কালা ।-শীকারটা বড় হাত ফসকেছে! কর্ণ -কিসের শীকার ? কালা।-সে একবেটা বৈষ্ণব, তেলক-কাটা, চৈতনচুটকী ওড়ানো ! বিষ্ণুমন্দিরে আগুন দিতেই পিলপিল করে বৈষ্ণবের পাল বেরিয়ে পড়ল। মহারাজের হুকুম, যে বৈষ্ণব ধরে নিয়ে যেতে পারবে, সে এক এক বেটা বৈষ্ণবের জন্য দু'হাজার করে টাকা পাবে। আমি খেয়ে না খেয়ে একবেটার পেছু নিলুম, ধরি- ধরি, এমন সময় বেটা কৃমিটকের খপ্পরে গিয়ে পড়ল ! মেহন্নত বাজেদু’। দু'হাজার টাকা লোকসান। কর্ণ -এত বৈষ্ণব মারছে, ব্যাপারটা কি বল দেখি ? কালা ।-ব্যাপার বড় মজার। মহারাজ তো বুড়ো হয়েছেন, আর ব্যায়রাম হয়েছে পক্ষাঘাত। বুড়োবিয়েসে পক্ষাঘাত, বুঝতেই পারছি, কাজটা একেবারেই নিৰ্ঘাত ! মহারাজের সদাই ভয় । কখন মরেন। কখন মরেন। তাই মহারাজের গুরু এসে বলেছেন। -হাজার বৈষ্ণব মেরে কি একটা যজ্ঞি করবেন তাহ’লেই মহারাজের আবার যৌবন ফিরে আসবে, আর তিনি অমর হবেন। কর্ণা।--তাহ’লে তো বড় মজা । তাহ’লে আমরা যে এই বৈষ্ণব মারছি, অমর না হই-দু' পাঁচ হাজার বৎসর বঁচিব তো ? তা