পাতা:ইংরাজ-বর্জ্জিত ভারতবর্ষ - জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৬৮
ইংরাজ-বর্জ্জিত ভারতবর্ষ

 পণ্ডিচেরী!•••আমাদের পুরাতন যে সকল উপনিবেশের নাম আমার শৈশবকালের কল্পনাকে মুগ্ধ করিত তন্মধ্যে পণ্ডিচেরী ও গোরের নাম, আমার মনে সুদূর বিদেশের একপ্রকার অনির্ব্বচনীয় স্বপ্ন জাগাইয়া “তুলিত। আমার যখন বয়স প্রায় দশ বৎসর, আমার এক অতিবৃদ্ধা পিতামহী একদিন সন্ধ্যাকালে, পণ্ডিচেরী-নিবাসী তাহার একটি মহিলাবন্ধুর কথা আমাকে বলিয়াছিলেন এবং তাহার পত্র হইতে একটি অংশ আমাকে পড়িয়া শুনাইয়াছিলেন, সেই পত্রের বৎসর সেই সময়েই একঅর্ধ শতাব্দি পিছাইয়া ছিল; সেই পত্রে তিনি তালকুঞ্জের কথা, ‘প্যাগোডা’র (দেবালয়) কথা বলিয়াছিলেন।

 সেই সুদূরবী পূরাতন রমণীয় নর, সেখানকার ফাটাফুটো প্রাকারাবলীর মধ্যে সমস্ত ফরাসী-অতীতটা যেন নিদ্রামগ্ন, সেই নগরে আসিয়া, ওঃ।আমার মনে কি একটা তীব্র বিষাদের ভাব উপস্থিত হইল! আমাদের নিস্তব্ধ মফস্বলের অভ্যন্তরপ্রদেশে যেরূপ ছোট ছোট রাস্তা, এখানেও কতকটা সেইরূপ; ছোট ছোট রাস্তাগুলি খুব সোজা, রাস্তার বাড়ী গুলা নীচু, শতবৎসরের পুরাতন, চূণকাম-করা সাদা, লাল মাটির উপর দণ্ডায়মান; উদ্যানের প্রাচীরের উপর হইতে কমি ফুলের মালা কিংবা অন্যান্য গ্রীষ্ম প্রধান দেশের পুষ্পমালা ঝুলিয়া পড়িয়াছে; গরাদে-ওয়ালা জানার পশ্চাতে কতকগুলি দিৰিঙ্গিরমণী কিংবা মেটেফিরিঙ্গি রমণীর মুখ দেখা যাইঙেছে। সুন্দর মুখ এবং চোখে ভারতীয় গূঢ়রহস্য বিদ্যমান। # রইয়া, ‘রু ডুপ্লে’ (অর্থাৎ রয়্যাল রোড, ডুপ্লে রোড)। এই নাম অষ্টাদশ শতাব্দীর অক্ষরে, পাথরের উপর সেকেলে-বরণে থোদিত। সে নগরটি আমার জন্মস্থান, সেই নগরের কোণে, কঙকগুলি পুরাতন বাড়ীর উপর এইরূপ ধরণে নাম এখনও খোদিত আছে বলিয়া আমার স্মরণ হয়। “রু স্যালুই” এবং “quay (কে) ব্লাশ-এই quayর বানানোর বদলে সেকেলে y•••