পাতা:ইংরেজ ডাকাত - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ইংরেজ ডাকাত।
৩৯

“সাহেব! এ কি তোমার কলিকাতা যে, তোমার চাকর তোমার কাপড় লইয়া সঙ্গে সঙ্গে আসিবে? এখন পুনরায় নদী পার হও, ও কাপড় প্রভৃতি লইয়া আইস।”

 আমার কথা শুনিয়া হাবিৎ অসন্তুষ্ট হইলেন; কিন্তু ডলসুরি সাহেব বিশেষ নম্র ও লজ্জিতভাবে আমাকে কহিলেন, “বাবু! কোন প্রকারে আমাদিগের কাপড়গুলি এইস্থানে আনাইয়া দেও।” ডালসুরির কথা শুনিয়া আমি কহিলাম, “আচ্ছা, তোমরা এইস্থানে দাঁড়াইয়া থাক; আমি তোমাদিগের কাপড় আনাইয়া দিতেছি।” এই বলিয়া সেইস্থানে যে সকল লোক দাঁড়াইয়াছিল, তাহাদের মধ্যে একটী দরিদ্র লোককে চারি আনা প্রদান করিলাম। সে নদী-পারে গমন করিয়া সাহেবদিগের পেন‍্টুলান, জুতা প্রভৃতি আনিয়া দিলে, উঁহারা আপন আপন লজ্জা নিবারণ করিলেন।

 যে সময় সাহেবগণ সেই স্থানে উলঙ্গ অবস্থায় দাঁড়াইয়াছিলেন, সেই সময় সেই স্থানের অনেক লোক তাহাদিগকে বেষ্টন করিয়া দাঁড়াইয়াছিল। দুইজন সাহেবকে তাহারা গত কল্য সন্ধ্যার সময় এইস্থান দিয়া গমন করিতে দেখিয়াছে, কি না; এই কথা আমি তাহাদিগকে জিজ্ঞাসা করায় সকলেই কহিল, তাহারা কোন সাহেবকে গত কল্য এইস্থানে দেখে নাই। কিন্তু একজন লোক কহিল, “দুইজন নূতন লোক শ্রীকৃষ্ণপুরের একজন গোয়ালার বাড়ীতে রহিয়াছে।” এই কথা শুনিয়া হাবিৎ সাহেব সেই অবস্থাতেই সেইস্থানে গমন করিতে উদ্যত! সাহেবের কথা শুনিয়া আমি কহিলাম, সাহেব! ওরূপ কার্য্য করিও না। আমি উহার বন্দোবস্ত