পাতা:ইংলণ্ডাধিপতি মহামহিম আল্‌ফ্রেডের জীবন বৃত্তান্ত.pdf/১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3. আলফুেডের জীবন বৃত্তান্ত । তোমাদিগের মধ্যে যিনি এই পুস্তক শাস্তু আবৃত্তি করিতে শিখিবে, তাহাকে ইহা পারিতোষিক দিব।” আলফুেড় জননীর এই রূপ উৎসাহজনক উক্তি শ্রবণে, বিশেষতঃ পুস্তকের চাকচক্যশালী প্রথম অক্ষর নিরীক্ষণ করিয়া পরমপুলকিত হইলেন। তিনি সহোদরগণের সমুথে আগ্রই উত্তর করিলেন, “হে জননি , আপনি সত্যই কি এই প্রস্তকানা আমাদিগের মধ্যে যে অগ্রে পড়িতে সক্ষম হইবে, তাহাকে ধুদান করিবেন ?” তাহার মাতা পুত্রের এই রূপ বচন শ্রবণ করিয়া ঈষৎ হাস্য করত কহিলেন, হী অবশ্যই প্রদান করিৰ তাহার সন্দেছ কি। তখন আলফুেড় জননীর হস্তুহইতে পুস্তক গ্রহণ করিয়া স্বীয় শিক্ষকের নিকট উপস্থিত হক্টলেন এবণ অত্যন্ত্রকাল মধ্যে বিশেষ স্বাধ্যবসায় সহকারে দৃঢ় পরিশ্রম করিয়া কৃতকার্য্য হইলেন । আলফুেড় এই রূপে দ্বাদশ বর্ষ বয়ঃক্রমকালে বিদ্যারসাস্বাদনে প্রবৃত্ত হইয়। নানা শাস্ত্রের অনুশীলন করতে লাগিলেন । র্তাহার ক্ষেত্রতত্ত্ব, ব্যাকরণ, ও বিজ্ঞানশাস্ত্রে বিশেষ পারদর্শী হইবার সমর্ণ অভিলাষ ছিল ; কিন্তু তৎকালে দিনমারদিগের অত্যন্ত উপদ্রবে রোমভিন্ন ইউরোপের প্রায় সর্ব্বত্র লেখা পড়ার চচ্চ উলিয়া গিয়াছিল। এজন্য সর্ব্বশাস্ত্রবিশারদ সুপণ্ডিত এক জন শিক্ষক মিলা অতিশয় কঠিন হইল । সুতরাণ র্তাহার মানস সিদ্ধ হইল না । א কিছুকাল পরে আলফুেড়ের পিতা, তাহার বিদার প্রতি এরূপ উৎসাহজনক প্রগাঢ় ভক্তি দেখিয়া ঠাহাকে রোমনগরে পাঠাষ্টয়া দিলেন । আলফুেড রোমনগরে উপস্থিত ছুটয় অসামান্য বুদ্ধির প্রাথর্যদ্বারা অতি অল্প গল মধ্যে তৎকালের প্রচলিত সকল শাস্ত্রে ব্যুৎপন্ন