পাতা:ইংলণ্ডের ডায়েরি - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লগুনে প্রত্যাবর্তন Aga আমাকে টুনোেপাখীর (১) গল্পটা পুনরুক্তি করাইলেন। সেখান হইতে কাণু আমাকে গাড়িতে কাধিয়া রেলওয়ে স্টেশনে আনিলেন। যতক্ষণ গাড়ি না। ছাড়িল কাখ স্টেশনে দাড়াইয়া রহিলেন । লণ্ডনে পৌছিতে ৪টা বাজিয়া গেল। ক্রমেই শীত পড়িতেছে। ওয়াটালুর্ণ স্টেশন হইতে বাড়ি আসিতে ব্যাগটি লইয়া বাসের উপরে বসিতে হইল। ঠাণ্ড বাতাস ও বৃষ্টিতে হাতদুখানি অবশ্যপ্রায়। বাড়িতে পৌছিয়া দুৰ্গামোহনবাবুকে । ও দেবেন। মুখাজিকে দুই পত্র লিখিলাম। আজ আর অন্য কাজ হইল না। ৫-১০-৮৮। আজ বাড়িতে পত্র লিখিবার দিন, প্রাতঃকাল হইতে সেইজন্য খুব ব্যস্ত। প্রাতে উঠিয়া কাণ্ডুরানীকে ও মিসেস টমাসকে পত্র লিখিলাম। তৎপরে মনে হইল যে, হেম জয়কালীর (২) জন্য একখানা ফরসাইথের “ডিফারেনশ্যাল ইকোয়েশন’ পুস্তক পাঠাইতে বলিয়াছে। না পাঠাইলেই নয়। তখনি ধড়াচুড়া পরিয়া ম্যাকমিলান কোম্পানীর দোকানের উদ্দেশে যাত্রা করিলাম। সেখানে আরও কয়েকখানি বই কিনিলাম। ফিরিবার সময় পথে আসিতে আসিতে এই চিন্তার উদয় হইল : আমার জীবনের প্রধান লক্ষ্য কি তাহা আমি বিশেষরূপে বুঝিতে পারিতেছি। দেশের যুবক-যুবতীদিগের মনে মনুষ্যত্বের আকাঙ্ক্ষা, উন্নতি স্পৃহা, স্বাবলম্বন-প্রবৃত্তি ও সাধুতার প্রতি প্রবল অনুরাগ উদ্দীপ্ত করা। এইজন্যই ত "স্টডেণ্টস সার্ভিস’-এর স্বষ্টি। সেইজন্যই স্টডেণ্টস সার্ভিসে আমার প্রাণ এত খোলে। আমাকে ইহার অনুকুল কয়েকখানি গ্রন্থ মুদ্রিত করিতে হইবে। স্মাইলস-এর । ‘সেলফ হেলপ”-এর ন্যায় বাঙলায় বই আবশ্যক। এইজন্য কতকগুলি (১) টুনো পাখি-বাল্যকালে শিবনাথের কুকুর, পাখি, ইত্যাদি পুবিবার খুব শখ ছিল। একটি শালিখছানাকে ধরিয়া বহুষত্নে তাহাকে প্রতিপালন করিয়া, নানারূপ কৌতুককর বুলি শিখাইয়াছিলেন, ইহার নাম দিয়াছিলেন “টুনো” । । (২) জয়কালি দত্ত-রাচীর স্ববিখ্যাত উকিল ও বিশিষ্ট ব্রাহ্ম ; ইনি এই সময়ে কলেজে উচ্চশ্রেণীর ছাত্র ছিলেন। . . . . . . .