পাতা:ইংলণ্ডের ডায়েরি - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&g ইংলেণ্ডের ডায়েরি পথে জাহাজ হইতে নামিয়া যাইবে ও সেই সঙ্গে আমাদের পত্র লইয়া বাইবে । তাড়াতাড়ি হেমকে ও রামব্রহ্মবাবুকে (১) দুই পত্র লিখিলাম। ক্রমে যতই সাগরে আসিয়া পড়িলাম ততই জলের বিক্রম ও বাতাসের বেগ দৃষ্ট হইতে লাগিল। তরঙ্গের এত জোর যে, জাহাজের উপরের ছাদে জল উঠিতে লাগিল, সেকেণ্ড ক্লাস এর সমুদ্রায় ক্যাবিনের জানালা বন্ধ করিতে হইল। ক্রমে অপরাহু ৫টা কি ৫টার সময় ‘পাইলট ব্রিগ” নামক জাহাজের নিকট উপস্থিত হওয়া গেল। ইহা একখানি জাহাজ, সর্বদা সমুদ্রের জলে ভাসিতেছে ; ঐখানে দাড়াইয়া আছে। পাইলট। ইহাতেই থাকেন ; যে জাহাজ নদীতে প্রবেশ করে, তঁহাকে তাহাতে উঠিয়া পথ দেখাইয়া লইয়া যাইতে হয় ; আবার কোন স্টীমার আসিবার সময় তাহাতে উঠিয়া নদীপথটুকু তঁহাকে পার করিয়া দিতে হয়। নদীর মধ্যে কোন বিপদ ঘটিলে সে দায়িত্ব তাহার ; সেজন্য কাপ্তেনকে দায়ী করা হয় না। অনুমান ছয়টার সময় পাইলট কাপ্তেনের হাতে জাহাজ দিয়া আমাদের জাহাজ পরিত্যাগ করিলেন। সেই জোর বাতাসের মধ্যে ‘পাইলট ব্রিগ’ হইতে একখানি “লাইফ বোটি’ আসিয়া তাহাকে লইয়া গেল। আমরা অকুল সমুদ্রে ভাসিলাম। বাপরে, সমুদ্র-তরঙ্গের কি অপূর্ব নৃত্য ! জাহাজখানি একবার তরঙ্গপৃষ্ঠে উঠিতেছে আবার তরঙ্গগর্ভে নামিতেছে। অনেক সাহেব-বিবির মাথা ঘুরিয়া বমন আরম্ভ হইল। পার্বতীবাবুরও মাথা ঘুরিতে লাগিল ; তিনিও তঁহার ক্যাবিনে পড়িয়া রহিলেন। ক্রমে সন্ধ্যা উত্তীর্ণ হইল। ডেকের উপরেই সায়ং সন্ধ্যা সমাপন করা গেল। ১৭৷৷১৮ই এপ্রিল, ১৮৮৮। এই দুই দিনের বিশেষ বিবরণ কিছু নাই; সেই নীল জলরাশি, সেই জাহাজের লোক, সেই নিয়মিত আহার। সবই সেই, অধিকের মধ্যে এই দুইদিনে আমি অনেক কাজ করিয়া ফেলিয়াছি। (১) রামব্রহ্ম সাফ্ল্যালি-তৎকালীন অলিপুর চিড়িয়াখানার প্রথম বাঙ্গালী चथक ९ दिछेि उक्कि ।