পাতা:ইউনানী হাকিমি চিকিৎসা প্রণালী - আবদুল লতিফ.pdf/১০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ৯৩ ) কোনটীর পরিমাণ কম হইয়া গেলেও প্রস্রাবে উক্ত বস্তু কণাগুলির অভাব হয়। সুস্থ ব্যক্তির প্রস্রাবে উক্ত বস্তু কণাগুলি যে পরিমাণে থাকে। দুর্বল ও ব্যায়ামশীল ব্যক্তির প্রস্রাবে তদপেক্ষা কম এবং মেন্দালু ও অলস ব্যক্তির প্রস্রাবে তদপেক্ষা অধিক পরিমাণে দৃষ্ট হয়। বাত রোগগ্রস্থ ব্যক্তির প্রস্রাবস্থ উক্ত দৃষ্ট বস্তু কণাগুলি শিশির তলদেশে চুর্ণের মত পড়িয়া থাকে এবং নাড়িলেও পেঁজা তুলার ন্যায় দৃষ্ট হয় না; যদি দৃষ্ট বস্তু কণাগুলি শিশির তলায় পড়িয়া থাকে এবং নাড়িলে ভাঙ্গিয়া যায় আবার স্থির হইলে শীঘ্রই পূৰ্ববস্থা প্রাপ্ত হয়, * পেজ তুলার মত দেখা যায় না এবং দুৰ্গন্ধ বিশিষ্ট হয়। তাহা হইলে তাহাতে পুজি আছে বলিয়া জানিতে হইবে, বেশী জল পান, জলীয় ফল ব্যবহার, জলীয় ফল খাইয়া জলপান করিলে ও শরীর বেশী গরম হইয়া মেদ তরল্যাবস্থা প্রাপ্ত হইলে এবং ধাতু বিকৃত হইয়া কোন রোগ হইলে প্রস্ৰাব পরিমাণে অধিক হইয়া থাকে । এরূপ বেশী প্রস্রাবে রোগী সুস্থত অনুভব করিয়া থাকে। ' ' ধাতু বিকৃত হইয়া প্রস্ৰাব অধিক পরিমাণে কিন্তু থাকিয়া থাকিয়া হইলে বুঝিতে হইবে যে, প্রধান প্রধান যন্ত্রগুলি দুর্বল হইয়াছে। বেশী পরিশ্রম জন্য ঘর্ম্ম হইলে, কোন পীড়া হেতু মেদ কম হইলে, বেশী দাস্ত হইলে প্রস্রাব পরিমাণে কম হয় । প্রথম খণ্ড সম্পূর্ণ