পাতা:ইউনানী হাকিমি চিকিৎসা প্রণালী - আবদুল লতিফ.pdf/১০৬

• له ਸੰ শ্রীযুক্ত হাকিম আবদুল লতিফ মহাশয় সমীপেযু भझiभभ পাঁচ বৎসর কাল অতীত হইল আমি প্রমেহের পীড়ায় কষ্ট ভোগ করিতেছিলাম। কলিকাতার ও অন্যান্য স্থানের অনেকানেক সুপ্রসিদ্ধ ডাক্তারী ও কবিরাজী ঔষধ ও দেশী ও বিলাতী নানা প্রকার পেটেণ্ট মেডিসিন ব্যবহার করিয়া কোন ফল না পাইয়া, আরোগ্য লাভের আশায় হতাশ হইয়া ছিলাম । গত পূজার পর আমার এক বন্ধুর নিকট আপনার যশের কথা শুনিয়া আপনার নিকট উপস্থিত। হই এবং আপনার নিকট হইতে ঔষধ লইয়া সেবন কুরি। আপনার ঔষধের এমনই আশ্চর্য্য গুণ যে, সপ্তাহ কাল সেবুনে আমার প্রায় * অৰ্দ্ধেক রোগ কমিয়া যায় । চারি সপ্তাহ কাল ঔষধ সেবন। করিয়া আমি সম্পূর্ণ আরোগ্য লাভ করি। আমার প্রস্রাবের সহিত সুত্রবৎ সপুয়া ধাতু নিৰ্গত হইত। দিব রাত্রিতে ৯১৫ বার প্রস্রাব করিতাম। এবং ইহার আনুসঙ্গিক যে সমুদয় রোগ ছিল তাহাতে আমার শরীর ও পড়া শুনার যথেষ্ট ক্ষতি করিত । ঈশ্বরের কৃপায় আপনার চিকিৎসায় আমার সমস্ত রোগই নিঃশেষ হইয়াছে। যে কষ্ট হইতে আপনি আমাকে পরিত্রাণ করিয়াছেন সে ঋণ আমার মত লোকের পরিশোধ করা সম্পূর্ণ অসম্ভব । জগদীশ্বরের নিকট প্রার্থনা করি যে তিনি যেন আপনাকে দীর্ঘজীবী করেন, তাহা হইলে সহস্ৰ সহস্ৰ লোক নানাবিধ ভীষণ ব্যাধি হইতে মুক্তি লাভ করিবে । যে সমুদায় লোক উৎকট রোগাক্রান্ত হইয়া নানা প্রকার চিকিৎসাতেও আরোগ্য লাভ করিতে পারেন না, আমার বিবেচনায় তাহারা আপনার মত চিকিৎসকের চিকিৎসাধীন থাকিলে নিশ্চয়ই আরোগ্য লাভ করিবেন । নিবেদন ইতি ১লা জানুয়ারি ১৮৮৮ সাল । শ্রীবিজয় চন্দ্র চৌধুরি সেকেণ্ড ক্ল্যাশ । মেটাপলিটন ইনষ্টিটটিউশন।