পাতা:ইউনানী হাকিমি চিকিৎসা প্রণালী - আবদুল লতিফ.pdf/২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( S) ) হইতে দিবে। শীতল হইলে, উক্ত রসুন ও শুঠচুর্ণ ২০ ডাম (৭০ মাস বা ৬ তোলা) শোধিত মধুর ঐ সহিত উত্তম রূপে চটকাইয়া হালুয়ার ন্যায় প্রস্তুত করিমু লাইবে । প্রত্যহ প্রাতে এক ডাম (৩০ মাস) করিয়া সোিন বিধি । জওয়ারেশে জালিনুষ অর্থাৎ জালিনুষ হাকিম দ্বারা আবিস্কৃত জওয়ারেশ (ধাতু পরিপাককর মোদক ঔষধ)- কফের সহিত জ্বর না থাকিলে ব্যবস্থা করা যায়। কিন্তু উক্ত ঔষধ উদরাময় পীড়াতেই অধিক ব্যবহৃত হইয়া থাকে একারণ যথাস্থানে এই ঔষধের বর্ণনা করা যাইবে । ৫ । কফ-যুক্ত জ্বরের ঔষধ ।-কোরসে গোল অর্থাৎ গোলাপ ফুলের চটি ঔষধ, কোরুসে গাফেস্, সেকেঞ্জাবীন বজুরী, সরুবতে বজুরী, গোলকন্দ প্রভৃতি ঔষধের বিষয় জ্বর ও যকৃতের চিকিৎসা স্থলে লেখা যাইবে। সওদা নিম্ন-লিখিত পাঁচ প্রকারে বিকৃত হইয়া থাকে। ১ । শরীর মধ্যে স্বভাব্যাতিরিক্ত অর্থাৎ আবশ্যক পরিামাণ অপেক্ষা অধিক পরিমাণে আসল সওদা উৎপন্ন হইয়া। ২। অতিরিক্ত উষ্ণ হইয়া আসল সওদা,জুলিয়া গেলে । ৩ । রক্ত জ্বলিয়া সওদায় পরিণত হইয়া । ৪ । কফ জুলিয়া সওদায় পরিণত হইয়া । ৫ । পিত্ত জুলিয়া সওদায় পরিণত হইয়া । শরীর মধ্যে যে কোন ধাতু জ্বলিয়া যাইবে তাহা অস্বাভাবিক (নকাল) সওদায় পরিণত হইবে । এই সওদা স্বাভাবিক সওদা হইতে বিভিন্ন পদার্থ। কোন ধাতু জ্বলিয়া যাওয়া মধু শোধিত করিবার প্রক্রিয়া ৪ পৃষ্ঠার ফুটনোটে দ্রষ্টব্য।