পাতা:ইউনানী হাকিমি চিকিৎসা প্রণালী - আবদুল লতিফ.pdf/৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ৩০ ) জোলাপ না খোলার জন্য গরম হইয়া যদি কোন উপসৰ্গ উপস্থিত হয়, তাহা হইলে তৎক্ষণাৎ রক্ত মোক্ষণ করবে। যদি কোন ব্যক্তি বিষ পান করিয়া থাকে কিম্বা কোন বিষাক্ত প্রাণী কর্তৃক দষ্ট হয়, তাহা হইলে কদাপি রক্ত মোক্ষণ করিবে না ; কিন্তু বিচ্ছ, কামড়াইলে তৎক্ষণাৎ রক্ত মোক্ষণ করিতে হইবে, কারণ তাহা হইলে এই প্রাণীর দংশন জন্য শরীরের সমস্ত লোম কূপ হইতে যে রক্ত নিৰ্গত হয় তাহা বন্ধ হইয়া যাইবে । জহর বাত রোগে-অর্থাৎ যে রোগে ধাতু অত্যন্ত বিকৃত ও বিষাক্ত হইয়া স্ফোটক উৎপাদন করে-রক্ত মোক্ষণ সাধারণতঃ নিষিদ্ধ ; কিন্তু আধুনিক হেকিমগণ পরীক্ষা দ্বারা স্থির করিয়াছেন যে, রক্ত অত্যন্ত বিকৃত ও বিষাক্ত হইয়া জীবন ধারণ পক্ষে আবশ্যকীয় শরীরস্থ এক বা ততোধিক প্রধান যন্ত্র আক্রমণ করিয়া এই রোগোৎপন্ন করিলে, রক্ত মোক্ষণ দ্বারা অত্যুৎকৃষ্ট ফল লাভ হয়। শরীরের অত্যন্ত দুর্বলতা, প্রলাপ, বক, মাঝে মাঝে অজ্ঞান হইয়া পড়া প্রভৃতি লক্ষণ বর্তমান থাকিলে উক্ত প্রকার জহরবাত রোগ হইয়াছে বুঝিতে হইবে । ) কোন সময়ে, কোন বারে, কোন তিথিতে, ও কিরূপ ব্যক্তিকে রক্ত মোক্ষণ করা উচিত এবং রক্ত মোক্ষণের পূর্বে ও পরে কি কি নিয়ম পালন করিতে হইবে, কোন সময়ে ও কিরূপে রক্ত বন্ধ করিতে হইবে, ইহার বিস্তারিত বিবরণ বৃহৎ বৃহৎ মূল পুস্তকে দ্রষ্টব্য। এখানে যৎকিঞ্চিৎ আভাষ দেওয়া যাইতেছে মাত্র । চিকিৎসক যদি এরূপ সন্দেহ করেন, যে কোন রোগীকে