পাতা:ইউনানী হাকিমি চিকিৎসা প্রণালী - আবদুল লতিফ.pdf/৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( OS ) পাদদেশ প্রভৃতি স্থানে যে অসংখ্য শিরা, ধমনি, স্নায়ু প্রভৃতি আছে তাহা ভবিষ্যতে বর্ণনা করিবার আশা রহিল। জোক লােগাইয়া কিম্বা সিঙ্গা দিয়া রক্তমোক্ষণ করিলে ও অনেকানেক রোগ আরোগ্য হইয়া থাকে। কিন্তু সিঙ্গা লাগাইয়া রক্ত মোক্ষণ বালকদিগের রোগেই প্রশস্ত ; আর জোক লাগাইয়া কি বালক কি যুবা প্রভৃতি সকলেরই দেহ হইতে রক্ত মোক্ষণ করা যাইতে পারে। দুই বৎসর বয়স অতীত না হইলে জোক কিম্বা সিঙ্গ লাগাইয়া রক্ত মোক্ষণ নিষিদ্ধ । পীড়িত স্থান চিরিয়া তথায় সিঙ্গ লাগাইতে হয়। ৬০ বৎসর বয়স অতীত হইলে, সিঙ্গ লাগাইয়া রক্ত মোক্ষণ নিষিদ্ধ। শুক্ল পক্ষের চতুৰ্দশী ও পূর্ণিমাতে রক্ত মোক্ষণ করিবে না ; এই দুই দিবসে চন্দ্র কিরণ সমধিক স্ফর্ত্তি লাভ করায় শরীরস্থ সমস্ত ধাতু দেহের উপরিভাগে আকৰ্ষিত হয়, তজ্জন্য সেই সময়ে ফাস্ত করিলে বিকৃত ধাতুর সহিত অবিকৃত ধাতু ও নিৰ্গত হয়। কিন্তু কৃষ্ণপক্ষ তিথিতে অবিকৃত ধাতু ভিতর দিকে যায় ও কেবল মাত্র বিকৃত ধাতু উপরে থাকে। এই জন্য এই সময়েই ফাস্ত করা উচিত । চন্দ্র কলার বৃদ্ধির সহিত অবিকৃত ধাতু উপর দিকে আসিতে আরম্ভ করে। বেলা এক প্রহরের পর ও দুই প্রহরের মধ্যে রক্ত মোক্ষণ করিতে হইবে। স্নান করিয়াই রক্ত মোক্ষণ নিষিদ্ধ ; কিন্তু উহার এক ঘণ্টা পরে রক্ত মোক্ষণ করা যাইবে । রোগের বেশী প্রাবল্য হইলে শুদ্ধ সিঙ্গ লাগাইলে বিশেষ ফল হয় না-ফাস্ত অর্থাৎ পূর্বোল্লিখিত