পাতা:ইউনানী হাকিমি চিকিৎসা প্রণালী - আবদুল লতিফ.pdf/৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( Ꭸ8 ) ২। যেমন শিলা বৃষ্টির সময় বৃক্ষ পত্র ও ফলের উপর শিল পড়িলে তাহা কৃষ্ণ বর্ণের হইয়া যায়, শরীর। অভ্যন্তরস্থ বিকৃত কফও তদ্রুপ প্রস্রাবের কৃষ্ণবর্ণ উৎপাদন করে । এই প্রকার প্রস্রাবে লাল বা জরদের আভা থাকে না। এই অবস্থায় প্রস্ৰাব প্রথম নিঃসরণকালে সবুজ বর্ণের দেখায়, পরে কৃষ্ণ বর্ণ দৃষ্ট হয়, এই প্রকারের প্রস্রাব গন্ধ শূন্য অথবা অন্ন গন্ধ বিশিষ্ট হইয়া থাকে। ৩ । শরীরে সওদা ধাতুর প্রকোপ অধিক হইয়া জ্বর হইলে প্রস্রাব কৃষ্ণ বর্ণের হইয়া থাকে, উক্ত জ্বরের হ্রাস বৃদ্ধি অনুসারে প্রস্রাবের কৃষ্ণ বর্ণের হ্রাস বৃদ্ধি হইয়া থাকে। যদি এই রূপ কৃষ্ণ বর্ণ প্রসাব নিঃসরণের সহিত জ্বরের হাস হইতে থাকে, তাহা হইলে জানিতে হইবে সওদার পরিপাকাবস্থা হইয়াছে। r ৪ । কৃষ্ণ বর্ণ সুরা (অর্থাৎ "জাম প্রভৃতির সুরা ) পান। করিলে যদি তাহা প্রস্ৰাব দ্বারা দিয়া তদাবস্থায় নিৰ্গত। জয় তাহা হইলে জানিতে হইবে যে, যকৃত একেবারে অকর্ম্মণ্য হইয়া গিয়াছে এবং পীড়া অতি সাংঘাতিক । কিন্তু উক্ত প্রকার সুরা অপর্য্যাপ্ত পরিমাণে পান করিয়া যদি প্রস্রাবের উক্ত প্রকার রং হয় তাহা হইলে ভয়ের বিশেষ কারণ নাই, কারণ এরূপ অপরিমিত দ্রব্যের পরিপাক যকৃতের সাধ্যাতীত হইতে পারে। (৫) প্রশ্রাবের শ্বেতবর্ণ দুই প্রকারের হইয়া থাকে। ১ । গদভীর দুগ্ধের ন্যায় শ্বেতবর্ণ প্রশ্রাব কিন্তু সেরূপ