সঙ্গে কথা বলে। অবশ্য এই বাড়ির মধ্যেই, বাইরে কোথাও নয়
নিস্তারিণী কাছে এসে বললে-ও ঠাকুরজামাই?
—এস বৌমা। ভালো?
—যেমন আশীব্বাদ করেচেন। একটা কথা বলতে এইলাম।
—কি বলো? -বুড়ো কবিরাজমশাইয়ের বাড়ি ধর্ম্ম-কথা হয়, গান হয়, আমি যেতি পারি? আমার বড্ড ইচ্ছে করে।
—না বৌমা। সে হোলো গাঁয়ের বাইরে মাঠে। সেখানে কেউ যায় না।
—আচ্ছা, দিদি গেলি?
—তোমার দিদি যায় না তো।
—যদি আমি তার ব্যবস্থা করি?
—সেখানে গিয়ে তুমি কি করবে?
—আমার ভালো লাগে। দুটো ভালো কথা কেউ বলে না এ গাঁয়ে, তবুও একটু গান হয়, ভালো বই পড়া হয়, আমার বড় ভালো লাগে।
—তোমার শ্বশুরবাড়িতে শাশুড়ী কি তোমার স্বামীর মত নিয়েচ?
—উনি মত দেবেন। মা মত দেন কি না দেন। বুড়ী বড় ঝানু। না দিলে তো বয়েই গেল, আমি যাবো ঠিক।
—ছিঃ, ওই তো তোমার দোষ বৌমা! অমন করতে নেই।
—আপনার মুখে শাস্তর পাঠ শুনবার বড় ইচ্ছে আমার।
পরে একটু অভিমানের সুরে বললে -তা তো আপনি চান না, সে আমি জানি।
—কি জানো?
—আপনি পছন্দ করেন না যে আমি সেখানে যাই।
—সে কথা আবার কি করে তুমি জানলে?
—আমি জানি।
—আচ্ছা, তোমার দিদি যদি কখনো যায় তবে যেও।
—যা মন যায় তা করা কি খারাপ?
৩০৯