ইস্ত্রিকে আবার দিদি বলে কেডা?
লালমোহন বড় অপ্রতিভ হয়ে গেল। সে সত্যিই অন্যমনস্ক ছিল, বললে—কি করতি হবে বলো বড়বৌ—
—জরিমানা দিতি হবে—
—কত?
—আমার একটা সাধ আছে, মেটাতি হবে। মেটাবে বলো?
—কি?
—শীত আসচে সামনে, গাঁয়ের সব গরীবদুঃখী লোকদের একখানা ক’রে রেজাই দেবো আর বামুনঠাকুরদের সবাইকে জোনাজাৎ একখানা ক’রে বনাত দেবো। কার্তিক মাসের সংক্রান্তির দিন।
—গরীবদের রেজাই দেওয়া হবে, কিন্তু বামুনরা তোমার দান নেবে না। আমাদের গাঁয়ের ঠাকুরদের চেনো না? বেশ, আমি আগে দেখি একটা ইষ্টিমিট ক’রে। কত খরচ লাগবে। কতকাতা থেকে মাল আনাতি লোক পাঠাতি হবে, তার পরে।
—আর একটা কথা—
—কি?
—এক বুড়ো বামুনের চাকরি ছাড়িয়ে দিয়েচে দেওয়ানমশাই কুঠি থেকে। তার নাম প্রসন্ন চক্কত্তি। বলেচেন, তোমার আর কোনো দরকার নেই।
—এসে ধরেচে বুঝি তোমায়? এ তোমার অন্যায় বড়বৌ। কুঠির কাজ আমি কি বুঝি? কাজ নেই তাই জবাব হয়ে গিয়েচে। কাজ না থাকলি বসে বসে মাইনে গুনতি হবে?
—হ্যাঁ হবে। এ বয়সে তিনি এখন যাবেন কোথায় জিগ্যেস করি? কে চাকরি দেবে?
নালু পাল বিরক্তির সুরে বললে—ছেলেমানুষ তুমি, এসবের মধ্যি থাকো কেন? তুমি কি বোঝো কাজের বিষয়? টাকাটা ছেলের হাতের মোয়া পেয়েচ? বললিই হোলো! কেন তোমার কাছে সে আসে জিগ্যেস করি? বিটলে