পাতা:ইঞ্জিল মুকদ্দস্‌.djvu/১৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
[ ১২৫ ]

শায়িরের আরজ।

হে পেয়ারা দোস্তগণ, করি নিবেদন। গাহিতে ইসার গুণ এরাদা এখন॥ ইসা মসী দুনিয়ার করেন নজাৎ। কহিব তোমার কাছে তাঁর যত বাৎ॥ কেমনে আইলা ইসা দুনিয়া মাঝারে। কেমনে নজাৎ ইসা দিল ইন্‌সানেরে॥ সেই সব বাৎ আমি কহিব তোমারে। কিন্তু থোড়া বুদ্ধি খোদা দিল যে আমারে॥ কম বুদ্ধি ধরি আমি কোন গুণ নাই। কেমনে সে সব কব দিলে ভাবি তাই॥ আপনার হাঁতে খোদা আদম হবারে। বানায়া রাখিল এক বাগিচা মাঝারে॥ না জানিত গুনা তারা, পাক দুই জন। হামেশা খোদার গুণ গাহিত তখন॥ দুনিয়ার যত লোক তাদের ফর্জন্দ। খোদার ফর্জন্দ তারা জানে সর্ব্ব জন॥ সুখে ছিল দুই জন সুন্দর বাগানে। খোদে খোদা দেখা দিত তাদেরে সেখানে॥ বাগিচার মাঝে ঢের ছিল গাছপালা। ফলিত সুন্দর ফল তাহাতে পহেলা॥ হুকুম করিল খোদা আদম হবারে। যত গাছ দেখ এই বাগিচা মাঝারে॥ বিলকুল গাছের ফল খাইবা দুজনে। কিন্তু যে দেখিছ গাছ ঐ মাঝ খানে॥ ভাল মন্দ বুদ্ধি হয় ও ফল খাইলে। খেও না উহার কল মরিবা ছুঁইলে॥ এ সব দেখিয়া দিলে শয়তান ভাবিল। আদম ও হবা যদি গুনা না করিল॥ পাকহৈয়া পএদা হবে যতেক ইন্‌সান। দুনিয়াতে তবে মোর নাহি থাকে মান॥ আদম আদ্‌মির বাপ যাতে গুনা করে। ফেকের করিয়া তা করিতে হবে মোরে॥ অএছা ভাবিয়া দিলে সেই দাগাদার। সাঁপ সাজি দেখা দিল বাগিচা মাঝার॥ হবা বিবি একা ছিল বসিয়া বাগানে। লক্‌ লক্‌ করি সাঁপ গেল সেই খানে॥ মিঠা বাতে তবে সাঁপ তাহারে কহিল। বাগিচাতে নানা গাছ খোদা