পাতা:ইণ্ডিয়ান মিউজিয়ামের পরিচয়পত্র.pdf/১০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( >०२ ) লাগান থাকে-কিন্তু ছানার পালক উঠিয়া সর্ব্বাঙ্গ ঢাকার সঙ্গে সঙ্গে এই নলীর তিরোধান হইয়া যায় । শৈশবাবস্থায় এই হোয়াক্টজিন এক অদ্ভুত প্রাণী। যখন পালক বড় একটা উঠে নাই, ইহারা তথন নিজেদের চঞ্চু, পী, এবং ডানার এই নলীর সাহায্যে ডালে ডালে ঘুরিয়৷ বেড়ায় । এই অবস্থায় জলে পড়িয়া গেলে বৃক্ষচর সরীসৃপের ন্যায় ইহারা সাতার কাটিয়া এবং ডুব দিয়া আপনাদিগকে বেশ রক্ষা করিয়া চলিতে পারে । এইসব দেখিয়া মনে হয় যে দক্ষিণ আমেরিকার এই হোয়াক্টজিন পাখী নিজেদের শৈশব-জীবনে পাখিশ্রেণীর আদিম পূর্ব্বপুরুষদের জীবনের পুনরাভিনয় করিয়া থাকে । গেলারির মাঝখানে একটি খাড়া কেসে এই পার্থীর পূণবয়স্কের ও ছানার দৃষ্টান্ত রাখা হইয়াছে । পার্থীর পালক, সরীস্বপের আইস বা খোলস আর স্তন্যপায়ী প্রাণীদের লোমের স্থলবন্ত্রী। ডানার উড়িবার পলিক গুলি হাতের ভিন্ন ভিন্ন হাড়ে নির্দিষ্ট ভাবে সংলগ্ন। একটি গৃধিনীর মেলান ডানায় লেবেল দিয়া তাহা দেখান হইয়াছে। প্রাথমিক বা উড়িবার ‘কলম-পালক” (Quill) দশ কি এগারটি করতল ও আঙ্গুলে লাগান। বুড়ো আঙ্গুলের হাড়ে কিছু ছোট কয়টি ‘কলম’ লাগান। এই কয়টিকে একত্রে বাজে ডানা(Bastard wing) বলে। হাতের আলনা (Ulna ) নামক হাড়ে যে কয়টি ‘কলম-পালক লাগান আছে তাহাকে গৌণ কলম-পালক বলে । ডানার এই কলমপালকগুলি ( Quills ) কতকগুলি ছোট ছোট শক্ত ডাটের পালকে ঢাকা । এই গুলিকে আবরণ-পালক ( Coverts ) বলা হয়। পুচ্ছ বা লেজের কলম-পালকগুলি ও এইরূপ আবরণ-পলিকে ঢাকা । সে গুলিকে পুচ্ছের আবরণ-পালক (Tail-coverts) নাম দেওয়া হয়। কোনও কোনও পার্থীতে এই পুচ্ছের আবরণ-পালক খাট পুচ্ছের কলম-পালকের সমান অথবা পুচ্ছ-পালক হইতেও লম্বা দেখা যায় । ময়ুরের “পেখম” এই পুচ্ছের আবরণ-পালক স্বারা তৈয়ারী। পাখী “কুরুচ ফেলার” (Moulting ) সময় উড়িবার পালকগুলি জোড়া জোড়া করিয়া বদলায় । কাজেই কোন সময়েই উড়িবার কোনও অসুবিধা হয় না ।