পাতা:ইণ্ডিয়ান মিউজিয়ামের পরিচয়পত্র.pdf/১৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( २७२ ) গেলারির দক্ষিণের প্রাস্তের দেয়ালের কেসে মানুষ ও বনমানুষ গুলির কঙ্কাল জুড়িয়া তাহদের স্বাভাবিক দাড়াইবার প্রণালীর অনুকরণে দাড় করাইয়া রাখা হইয়াছে। ইহার পর পুবের দিকের দেয়ালের কেসে, ভিন্ন ভিন্ন রকমের মানুষের মাথার খুলি দেখান হইয়াছে। এই সঙ্গে জাভাদ্বীপের উপরকার স্তরে পিথেকানথোপাস άττέττα* (Pithecamthropus erectus) statía cx q*f •** পাওয়া গিয়াছিল তাহার একটি প্রতিকৃতি রাখা হইয়াছে। এই প্রাণীটি মানুষ ও বনমানুষের (বিশেষতঃ হুলুকের ) মাঝামাঝি। মানুষের কঙ্কাল ঠিক সোজা হইয়া দাড়াইবার বন্দোবস্তেই স্তন্যপায়ী সাধারণের কঙ্কাল হইতে বিশেষ পৃথক । চলিয়া বেড়াইবার কাজ হইতে হাত দুইখানির সম্পূর্ণ মুক্তি আর একটি বিশেষত্ব। বিলুপ্ত লেজের শেষ চিহ্ন স্বরূপ তিন বা পাচটি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভারটিব্রির একত্র সমাবেশে একটি ক্ষুদ্র অচল হাড়ের খণ্ড শিরদাঁড়ার সব নীচে লাগান। মানুষের মাথার খুলি অন্ত সমস্ত স্তন্যপায়ী প্রাণীর মাথার খুলির তুলনায় মস্তিষ্কের আধার হিসাবে অনেক বড়। মস্তিষ্কের আধারের এই বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তুলনায় মুখের অন্যান্ত হাড়ের খর্ব্বত মানুষের গড়নের আর একটি বিশেষত্ব । মানব-তত্ত্ব । ( Ethnology. ) কীটের কামরার পুবের দরজা দিয়া বাহির হইলে পোলের পথে মানৰ-তত্বের গেলারিতে যাওয়া যায়। এই কামরায় প্রতিমূর্ত্তি, প্রতিকৃতি এবং ব্যবহার্য্য নানারূপ জিনিস দিয়া ভারতবর্ষের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের বিশেষতঃ অনুন্নত শ্রেণীদের সম্বন্ধে অনেক তত্বের সমাবেশ করা হইয়াছে। এই গেলারিতে ২৬৬টি মুখের ছাঁচ দিয়া ভিন্ন ভিন্ন জাতিদের গঠনের আদর্শ দেখান হইয়াছে। মাঝখানের বড় কেসে