পাতা:ইণ্ডিয়ান মিউজিয়ামের পরিচয়পত্র.pdf/১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( २२ ) পদ্মফুল ধারণ করিয়া: থাকেন বলিয়া ইনি সাধারণতঃ পদ্মপাণি নামেই পরিচিত । - পরবর্তী বীথিতে বৌদ্ধদিগের নানাবিধ গৌণ দেবতা রাখা হইয়াছে। যেমন ঐশ্বর্য্যের অধিপতি জস্তল, বিস্কার অধিপতি মঞ্জ,শ্রী ( যাহার প্রধান নিদর্শন সচরাচর পদ্মোপরি অবস্থাপিত একখানি পুস্তক ), এবং ভবিষ্যৎ বুদ্ধ মৈত্রেয়, ইনি বৌদ্ধদিগের কন্ধী । পরবর্তী বীথিতে বৌদ্ধ স্ত্রী দেবতা তারার মূর্ত্তি। এসব মূর্ত্তি বৌদ্ধ উপাখ্যানে বড় আদরের বস্তু হইলেও পরবর্তী যুগের। পরেরটিতে পুর্ব্বদিকের দেয়ালের গায়ের চারিটি বড় বড় ভারি ভারি মূর্ত্তি যাবা হইতে আসিয়াছে। এই দ্বীপটি বৌদ্ধ এবং ব্রাহ্মণ এই উভয়বিধ প্রভাবেরই যে বিখ্যাত স্থান তাহা ইহার মূর্ত্তি ও মন্দিরগুলি দেখিয়াই বুঝা যায় । ভারতীয় পরবর্তী যুগের গুপ্ত সম্প্রদায়ের শিল্পই এই প্রভাবোৎপত্তির মূল বলিয়া মনে হয় কিন্তু যাৰাবাসীদিগের প্রধান মন্দির যাহা বোরোবুদ্ধর নামক স্থানের বড় স্ত,প, উহার সময় খৃষ্টীয় নবম শতাব্দী হইতেই ধরা হইয়াথাকে। এইখানে মেজেতে সাদা মার্ব্বেল পাথরের একটি প্রকাগু কারুকার্য্যখচিত বুদ্ধের পদচিহ্র রক্ষিত হইয়াছে। ইহা নিতান্ত আধুনিক ও রেজুন হইতে আসিয়াছে। আরও কতিপয় ব্রহ্ম দেশীয় মূর্ত্তি ঐ দক্ষিণপূর্ব কোণের দিকে রাখা হইয়াছে। ইহাদের শিল্পের মূল্য অতি সীমান্ত বা একেবারে নাই বলিলেও চলে । পূর্ব্বদিগবর্তী মধ্যস্থলের লম্বা টেবিলে নানারকমের কতকগুলি বৌদ্ধ মূর্ত্তি সাজান রহিয়াছে। এ গুলি সব মধ্য যুগের এবং মগধ বা খেকার হইতে আনীত । n", - শিলালিপি গৃহ। ; : গুপ্তপৃহের পূর্ব্বে ছোট ঘরটিতে যে সকল পুরাতন জিনিস রাখা হইরাছে সেগুলি মূর্ত্তিগুলির মত সাধারণের মনোরঞ্জক নহে। এ সকলের অধিকাংশই কারুকার্য্যবিহীন কতকগুলি প্রস্তর । তাহাতে আবার