পাতা:ইণ্ডিয়ান মিউজিয়ামের পরিচয়পত্র.pdf/৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ২৯ ) রের নমুনাগুলিকে সেই সকল বিভাগ অনুসারে সাজাইয় পরিষ্কার টিকেটে নাম লিথিয়া দেওয়া হইয়াছে। এই সকল টিকেটের সাহায্যে কোন কোন নমুনা পুরাতন ও কোন কোন নমুনা নূতন তাহ অনায়াসে জানা । যাইতে পারে। সর্ব্বাপেক্ষ পুরাতন নমুনাগুলির পরিচয়লিপিতে “GAJ* শব্দটী লিখিত আছে। এই সকল নমুনা বেলুচিস্থানে পাওয়া গিয়াছিল এবং ইহাদের মধ্যে এমন জীবের ধবংসাবশেষও আছে যাহা অনেক দিন হইল পৃথিবী হইতে লোপ পাইয়াছে পৃথিবীর পরিবর্তনের ইতিহাসে এই সকল প্রাণীর পরে যে সকল জীব পৃথিবীতে বাস করিয়াছিল তাহদের ধ্বংসাবশেষ যথাক্রমে নিম্ন শিবালিক (Lower Siwalik) মধ্য fotątfrīzs (Middle Siwalik) GE5 fit-tforf (Upper Siwalik) azt (Pleistocine) নামে আখ্যাত হইয়াছে। এই শেষোক্ত ধ্বংসাবশেষগুলি এমন একটা সময় নির্দেশ করে যখনকার জীবজন্তু আজকালিকার জীবজন্তু অপেক্ষ বড় বেশী পৃথক ছিল না । কেবলমাত্র এই সকল ংসাবশেষই আধুনিক সমতল পলিভূমিতেও পাওয়া যায় এবং ইহাই তাহাদের আধুনিকত্যের প্রমাণ। এই সকল Pleistocine জীবকঙ্কাল গঙ্গার পলিভূমির নিম্নস্তরে এবং নর্ম্মদ ও গোদাবরীর পুরাতন পলি ভূমিতে পাওয়া যায়। খুব সম্ভবতঃ এই সকল জীব এক হইতে দুই হাজার বৎসরের মধ্যে সেই সকল স্থানে বাস করিতেছিল। হিপপটেমাস (সিন্ধু ঘোটক) যাহা এখন আর ভারতবর্ষে দেখা যায় না কিন্তু আফ্রিকায় দেখা যায় এবং ভিন্ন রকমের দুই হাতীর কঙ্কালাবশেষ দেখান হইয়াছে। এই হাতীগুলি আধুনিক হাতী হইতে সম্পূর্ণ ভিন্ন । এই জাতীয় একট হাতীর মাথার খুলী গেলারির উত্তরের দরজার ঠিক সামনেই সাজাইয়৷ রাখা হইয়াছে। এই মাথার খুলীটি গোদাবরী নদীর পলি খনন করিয়া পাওয়া গিয়াছিল। ইহা অস্তাবধি প্রাপ্ত পৃথিবীর যাবতীয় হাতীর মাথার খুলা হইতে বড়। হাতীট জীবিতাবস্থার অনুমান ১৫ ফুট অথবা ততোধিক উচ্চ ছিল। এই জাতীয় মাথার খুলী গেলারির অনেক স্থানে দেখিতে পাওয়া যাইবে। অপর জাতীয় হাতীর মাথার খুলির একটা ছাঁচ গেলারির দক্ষিণপশ্চিম জানালার ঠিক নীচে রাখা হইয়াছে। এই