পাতা:ইণ্ডিয়ান মিউজিয়ামের পরিচয়পত্র.pdf/৪২

( so ) হইতে রবর উৎপন্ন হইবা চালান হই থাকে। কিরূপে রবর সংগ্রহ করাহয় তাহ, আর নানা রকমের রবরের নমুনাও দেথান হইয়াছে। বার্নিস তৈয়ার করার নানারূপ ধূনা, এবং মিউসিলেজ (Mucilage) ও মিঠাই প্রস্তুতে যে সব আহারোপযোগী গদ দেওয়া হয় তাহাও এই কামরায় দেখান হইয়াছে । তেলের বীথিতে ভারতের প্রধান প্রধান তৈল, রেটী, নারিকেল, তিসি, চিনাবাদাম, তিল, সরিষা এবং এগুলি অপেক্ষ নীচের শ্রেণীর মন্থয়া, কাপাস, পোস্ত, জাফ্রাণ, স্বর্য্যমুখী এবং কৃষ্ণতিল এ সবই দেখান হইয়াছে ; দেয়ালের গায়ের কেসে প্রত্যেকটির বীচি, উহার তৈল ও উহার খৈল, যে সমস্ত এ দেশের তৈলের কারখানায় তৈয়ার হইয়া থাকে তাহ সবই রাখা হইয়াছে। বীচি হইতে নিঙ্গড়াইয়া ভৈল বাহির করার পর ষে খৈল পড়িয়া থাকে তাহা গরু ও মোষের খাওয়ায় লাগে। সাবাল ও মোমবাতি তৈয়ার করিতে এসব তেলের প্রয়োজন হয় বলিয়া একটা মাঝের বড় কেলে নর্থ ওয়েষ্টারণ সোপ কোংর (North Western Soap Co.) ogs afqīn 8 cwtoots" দেখান হইয়াছে। . রং এবং চামড়া তৈয়ার করার মসল্লা দেখানের বীথিতে একটা কেসে নীলকুঠির একটি আদর্শ দেখান হইয়াছে। কিরূপে নীলের গাছ গুলি জলে মজাইতে হয়, কিরূপে নীলের সার তুলিয়া নিতে হয়, কিরূপে নীল ছাকিয়া পরিষ্কার করিয়া চাক চাক করিয়া শুকাইতে হয় এসবই দেখান হইয়াছে। দেয়ালের গায়ে অনেকগুলি চিরপরিচিত রং দেখান হইয়াছে। আলতা ও মঞ্জিষ্টা (লাল), কুসুম ও *I (Yellow) এবং কমল । পূর্ব্বে ভারতবর্ষ হইতে বহুপরিমাণে নীল ও অন্তান্ত মূল রংয়ের রপ্তানী হইত কিন্তু এখন আলকাতর হইতে প্রস্তুত আনিলাইন (Aniline) নামক রংগুলিতে সেই স্থান অধিকার করিয়াছে। এই বীথির আর একটি বড় কৈসে কং বা খরি দেখান হইয়াছে । খদির বৃক্ষের কাঠ হইতে নির্য্যাস শুষ্ক করিয়া কং তৈয়ার করা হয়। ইহা বর্ম্মায় প্রচুর পরিমাণে তৈয়ার