পাতা:ইণ্ডিয়ান মিউজিয়ামের পরিচয়পত্র.pdf/৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( t ) দ্বার রহিয়াছে এবং অনেকেরই রক্তবাহী শিরা আছে। ইহাদের প্রত্যেকটি গ্রন্থিতে ভিতরে সমানভাগে পাকাশয়, রক্তনালী, মূত্রাশয়, স্নায়ুমণ্ডল রহিয়াছে । আর বাহিরে প্রতি গ্রস্থিতে জোড়া জোড়া পায়ের মত চলাচলের যন্ত্র। এনিলিডাদিগকে নিম্নলিখিত তিনটি শ্রেণীতে ভাগ করা झम्न । (ক) কেঁচোর বা কিটোপোড়ার (Chartopoda) শ্রেণী । ইহাদের প্রতি গ্রন্থিতে চুলের স্তায় জোড়া জোড়া পা । তার সঙ্গে আবার অনেকগুলি শ্বাস-ক্রিয়ার জন্য গিলও থাকে। সামুদ্রিক কিটোপোডাগুলিকে বহুপদী (Polychaea) বলা হয় । ইহাদের গুয়া আছে । শ্বাস গ্রহণের গিল ও রহিয়াছে। আণ্ডামানের ইউনিস (Eunit: ) ইহাদের দৃষ্টান্ত । আর স্থলচর কিটোপোড়াদিগকে বিশিষ্ট্রপদী ( Oligockae:৫ ) বলা হয় । ইহাদের মুখের শুরা নাই এবং গিল বা পায়ের যন্ত্রের বাড়াবাড়ি নাই। কেবল পায়ের যন্ত্রগুলির স্থানে প্রতি গ্রন্থিতে কয়েকটি চুলের ন্যায় হুন্ন যন্ত্র আছে। কেঁচো (Earthworm) ইহার खेड्भ मूछेछ । (খ) চাকফেরা কীটপু শ্রেণী (Rotifera) । অণুবীক্ষণের সাহায্য ভিন্ন ইহার চক্ষুগোচর হয় না । বয়স্থদের ভিতর ভারমিসের কোনও লক্ষণ পাওয়া না গেলেও ইছাদের ভ্রণগুলির জীবনে ভারামসের অনেক লক্ষণ পাওয়া যায় । স্ত্রীপুরুষের প্রভেদ বিস্তর । একটি স্ত্রী-রটিফারের বড় করা চিত্র দেখান হইয়াছে । (গ) জলোঁকা বা জোকের শ্রেণী (Hirudinea) । ইহারা অন্য প্রাণীর রক্ত শোষণ করিয়া খায়। অন্যান্য ওয়ারমসের ন্যায় ইহাদের শরীরও অঙ্গুরীর মত গ্রন্থিবিশিষ্ট। তবে তফাৎ এই, বাহরের গ্রন্থির সঙ্গে জোকের শরীরের অভ্যস্তরের গিরার সম্বন্ধ অল্প। বাহিরের প্রতি পাচটি গিরার দাগের স্থানে অভ্যস্থরের মাত্র এক একটি গিরা দেখা যায় । জোকের কোনওরূপ পা বা শিটি কিছুই নাই। মুখের কাছে একটি শোষক-চাক্তি আর শরীরের শেষভাগে আর একটি, এই দুইটি শোষক চাক্তির স্তান আছে । এই দুইটির সাহামো ইহারা চলাচল করিতে পারে। ইহাদের কয়েকটি সামুদ্রিক। কয়েকটি আবার মিঠা জল ও ভিজা ঘাসের