পাতা:ইণ্ডিয়ান মিউজিয়ামের পরিচয়পত্র.pdf/৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( צר ) লম্বা পাগুলির মধ্যে অনেকদূর পর্য্যন্ত বিস্তৃত । পিক্‌নোগোনিডা দেহগঠন প্রণালীতে কাকড় ও মাকড়সার মাঝামাঝি। রাজ-কাকড়ার (King-crab) পৃষ্ঠাবরক খোলস বা ঢালটি মস্ত । বড় । ইহা শরীরের অধিকাংশ ঢাকিয়া রাখে। এই খোলস নীচের দিকে অবস্থিত মুখটি এবং পাগুলিকেও রক্ষা করে। শরীরের শেষভাগে একটা মস্ত লম্বা শলাকাকার লেজ । এই কাটার ন্যায় লেজটি রাজকাকড় বেশ ঘুরাইতে ফিরাইতে পারে। - সবশেষে এই কামরায় নলীপদ শ্রেণীর (Orychophora = Claw bearers) অন্তর্গত প্রাণী দেখান হইয়াছে। এই শ্রেণীকে পেরিপেটয়ডিয়াও (Peripatoidea ) বলা হয় । সংখ্যায় অল্প হইলেও ইহাদের সম্বন্ধে জ্ঞাতব্য বিষয়গুলি গুরুতর। দেখিতে ইহারা চাটার ( Slug ) স্থায় ক্ষুদ্র প্রাণী, কিন্তু দেহগঠন-প্রণালীতে ইহার গ্রন্থিপদী ( ArthroAoda ) gd: Isfa-“ Arafargfa ( Segmented worms ) মাঝামাঝি । এই শ্রেণীর অন্তর্গত একটি জাতি হিমালয়ের পুর্ব সীমান্তে ১৯১১–১২ খ্রীষ্টাব্দের আরব অভিজানের সময় পাওয়া গিয়াছিল। এই কামরার মাঝখানে খাড়া গ্লাসকেসগুলিতে কীট জাতীয় নানা শ্রেণীর পোকা সাজান রছিয়াছে এবং প্রত্যেক রকম পোকার বিশেষ বিবরণ সংলগ্ন-টিকেটে লেখা আছে । আসল পোকাগুলি শুকাইয়া পিনে গাথিয়া দেখান হইয়াছে । মাঝখানের স্বতন্ত্র একটি কেসে ভারতের সব রকম রক্তশোষক পোকা ও তাহাদের স্বভাব-শক্র প্রাণীগুলিকে এক সঙ্গে দেখান হইয়াছে প্রত্যেক রক্ত-শোষক পোকার লেবেলে ঐ পোকা কোন কোন সংক্রামক রোগের বীজামু বহন করে বা বহন করে বলিয়া সন্দেহ করা হয় তাহার সবিস্তার বিবরণ লিখিত আছে । আরথোপোড়া বিভাগের (Arthropoda) ক্রসটেসিয়া (crustacea) অর্থাৎ কাঁকড়া, চিঙ্গড়ী প্রভৃতি ব্যতিত অন্যান্ত শ্রেণীর প্রাণিগুলিকে স্পিরিটে পূরিয়া দেয়ালের গায়ে লাগান কেসে দেখান হইয়াছে। ক্রটেসিয়া catala ( Crustacca ) offirefits awiw forty is. (Invertebrate) প্রাণীগুলির সঙ্গে পুব দিগের লম্বা গেলারিতে দেখান হইয়াছে।