পাতা:ইণ্ডিয়ান মিউজিয়ামের পরিচয়পত্র.pdf/৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( vన ) ইহাদের আকৃতি ও প্রকৃতি উভয়ই অনেকটা বড় ওয়ারম্দের মত । ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আইস বা খোলস ( scale ) দেহাবরক চামড়ার স্থানে স্থানে আঙ্গটির মতন ঘোরান হিসাবে লাগান। মাটির নীচে বসবাসের ফলে কোনও কোনটির চক্ষু খুব ছোট, কতকগুলির চোখ চামড়া দিয়া ঢাকা, এবং বাকীগুলির মাথার খুলির হাড়ের ভিতর চোখের চিন্তু মাত্র অবশিষ্ট (rudimentary) । ইহাদের কোনও কোনও স্পিলিজের দুইটি শুয়া বা স্পৰ্শ-শলাকা (feelers) দেখা যায়। ইকৃথিওফিস ( /a/27/yo%s ) ভারতের প্রায় সর্ব্বত্র পাওয়া যায় । ইহাদের স্তায় কয়েকটি জাতি দক্ষিণ ভারতে, সিংহলে ও আসামে পাওয়া যায় । পূর্ণাবয়ব সিসিলিয়ানেরা ( Caecilians ) কাদার ভিতরে গর্ত্ত করিয়া বাস করে । কিন্তু শৈশবে মাছের আকৃতির ক্রণগুলি জলচর । ইকৃথিওফিস প্লটনোসাসের (Johtky%is gatinous ) ডিমগুলি বেশ বড় বড়। জলের কিনারার গর্তে ডিম পাড়িয়া ইস্কৃথিওফিস-মাতা ডিম-সংগ্রহের চারিদিকে শরীর দিয়া বেড়িয়া ঐ ডিমসমষ্টিকে রক্ষা করে। বাহিরের গিল না হারাণ পর্য্যন্ত ইকৃথিওফিস-শিশু মাতার এই দেহাবর্ত্ত পরিত্যাগ করে না । তার পর এই বয়স্থ শিশু জলে বিচরণ করিয়৷ বেড়ায়। জলে থাকার সময় ইহাদের গলার পাশে দুইটি ছেদা (spiraculum) থাকে, মাথা মাছের ন্তায় দেখায়, এবং ঠোঁটের শোষক অংশ বিস্তৃত এবং চক্ষু পূর্ণাবয়বাবস্থার চক্ষু হইতে অনেক বড় দেখায় । প্রতি নৈশ ভ্রমণে কোলাবেঙগুলি নানারূপ অনিষ্টকারী কীট, পোকা ও চাটা প্রভৃতি ধরিয়া খায় । ইহাদের দ্বার কাজেই বহুল অনিষ্টকারী প্রাণীদের দমন হয় । ইহা মনে রাখিলে কোলাবেঙকে একটি প্রয়োজনীয় উপকারী প্রাণী বলিয়া জ্ঞান করা উচিত । অথচ সব দেশেই ইহাদের সম্বন্ধে বৃথা কুসংস্কারের দরুণ বিনা দোষে ইহাদের প্রতি নানাপ্রকার অদ্যায় অত্যাচার হইয়া থাকে । শিরদাড়াওয়াল প্রাণীদের মধ্যে সংখ্যার হিসাবে ভেকাদির পরিমান অল্প । ইহাদের ম্পিলিজের সংখ্যা এক হাজারের অধিক হইবে না । অস্তান্ত প্রাণীদের স্পিসিজের সংখ্যা এই ক্তে কাদি হইতে অনেক বেণী । ১২