পাতা:ইণ্ডিয়ান মিউজিয়ামের পরিচয়পত্র.pdf/৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( సెd ) গোসাপ ও টিকটিকিদের ভিত্তর, ঘরের টিকটিকি, বাহিরের আঞ্জিল, গোসাপ, স্বর্ণগোধিকা, ড্রেকে প্রভৃতি ভিন্ন ভিন্ন জাতিতে বিভাগ করিয়া উত্তরের দিকের দেয়ালের পশ্চিম ভাগে সাজাইয়া রাখা হইয়াছে। ffafi efa ( Rhiptoglossa = Chameleons ) fizi;f* e গুইসাপ হইতে অনেক রকমে ভিন্ন। মোটামুটি ছুইটি লক্ষণ বিশেষরূপে মনে রাখা দরকার। গিরগিটিদের পায়ের লম্বা আঙ্গুলগুলি দুই সেটে দুইটি ও তিনটি করিয়া ভাগ করা । কাজেই পায়ের আঙ্গুলগুলি ধরিয়া রাখিবার শক্তিশালী যন্ত্র। আর ইহাদের জিভ অতি লম্বা, জিভের আগ চেপুট ও পুরু এবং ইহার এই লম্বা জিভ ছুটাইয়া পোক মাকড় তুলিয়া লইতে খুব পারগ। ইছাদের কঙ্কালের মধ্যেও অনেক পার্থক্য। গিরগিটির গলার নীচের লম্বা হাড় দুইটি (Clavicle) এবং তাহাদের ভিতরের হাড়টি ( Interclavicle ) নাই। করোটি বা মাথার খুলি অনেকটা মুকুটের ধরণে উপরের দিকে লম্বা আর অনেক গুটি ( Tubercles ) বসান। গিরগিটির লেজ খুব লম্বা কিন্তু উহা টিকটিকির লেজের স্যায় ঠুনকে নয়। ছিড়িয়া গেলে টিকটিকির লেজের দ্যায় পুনরায় উহা গজাইয়া উঠে না । লেজ দিয়া । ইহারা জড়াইয়া ধরিতে পারে এবং লেজ নীচের দিকে বাকাইয়া গুটাইতে পারে। টিকটিকিদের আইস বা খোলসের স্থানে ইহাদের আচিল বা মেজের ন্যায় চামড়ার উপর গোটা গোটা । ইহার প্রত্যেক চক্ষু অন্তটির অনপেক্ষ ভাবে ঘুৰ্বাহতে - ফিরাইতে পারে। সাপের উপবর্গের প্রধান লক্ষণ ইহাদের চিবুকের (খুথার ) যায়গায় নীচের চোয়ালে ডাইন ও বাম ভাগের জোড়ার প্রণালী। এই দুই খণ্ড চোয়ালাদ্ধ রবরের ন্তায় স্থিতিস্থাপক ইলাষ্টিক্ বন্ধন দ্বারা আঠুকান। ইহাতে মুখের স্বাভাবিক আয়তন হইতে শিকারের দেহ বড় হইলেও সাপ মুখ টানিয়া বড় করিয়া শিকার গিলিতে সমর্থ হয়। হাত পা শূন্ত লম্বা দেহী এই প্রাণীগুলির মধ্যে অল্প কয়েকটির অতি ক্ষুদ্র পায়ের চিহ্নমাত্র অবশিষ্ট । পার অনুকৃতি মাত্র দেখিতে পাওয়া যায়। ইহাদের একহারা চক্ষুর পাতি বা আবরণ স্বচ্ছ ও লাগান। নিম্নলিখিত সাপের